বৃক্ষ নিধনও বিএনপির একটা চরিত্র বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার (১৫ জুন) সকালে গণভবনে কৃষক লীগের উদ্যোগে তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এমন দাবি করেন তিনি।
নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আবারও ১৯৭৪ সালের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে আপনাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত নির্ভর করে কৃষির ওপর। আমাদের অর্থনীতি কৃষি নির্ভর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। স্বাধীনতার পর পরই তিনি সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। কৃষিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের প্রশ্নে বিএনপির আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, বিএনপির মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা শুনলে হাসি পায়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানই প্রথম মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ভোট চুরি করে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারে না। ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়ার পদত্যাগ সেটাই প্রমাণ করে।
তিনি বলেন, বিএনপি শুধু ক্ষমতায় থাকাকালে নয়, বিরোধী দলে থাকাকালেও আন্দোলনের নামে গাছ কেটেছে। আওয়ামী লীগই দেশে প্রথম বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের পরে তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে এরশাদ ক্ষমতায় এসে জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। এ দেশের কৃষক-শ্রমিকরা সব সময় অবহেলিতই থেকে যায়। এরপর আসল খালেদা জিয়া। সে-ও ক্ষমতায় আসার পর দেখা গেল, শুধু জনগণের ভোট চুরি করাই না, দেশের কৃষকের ভাগ্য নিয়েও ছিনিমিনি খেলে; সার পাওয়া যাচ্ছে না, কৃষক আন্দোলন করেছে। আন্দোলন করার অপরাধে ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছিল।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তিন ফসলি জমি নষ্ট করে কোনো শিল্পায়ন করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়ে সবাইকে বৃক্ষরোপণ অভিযানে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ