পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরু কেনা শুরু হয়েছে। কেউ হাটে গিয়ে কিনছেন। কেউ অনলাইনে কিনছেন। কেউ গরু কিনে খামারেই রেখে দিয়েছেন।
পরিবারের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ঈদ উদ্যাপন করা হয় না সিঙ্গাপুর প্রবাসী মো. সাইফুলের। এতে কিছুটা খারাপ লাগলেও থেমে নেই ঈদ আনন্দ। বাড়িতে তার বৃদ্ধ বাবা-মা। পরিবারে তেমন কেউ না থাকায় বিদেশে বসেই অনলাইনে কোরবানির গরু অর্ডার করেছেন।
ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন। এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে জমে উঠেছে পশুর হাট। পিছিয়ে নেই অনলাইনে বেচাকেনাও । যারা সরাসরি হাটে গিয়ে গরু-ছাগল কেনার সুযোগ পাচ্ছেন না, তারা অনলাইন থেকে পশু অর্ডার করছেন।
তাদের মধ্যে সাইফুলও একজন। তিন বছর ধরে দেশের বাইরে তিনি। বাসায় বাবা-মা যাতে ঈদ করতে পারে, তাই অনলাইন থেকে গরু অর্ডার করেছেন তিনি।
সাইফুল জানান, একটি অ্যাগ্রো ফার্মের ফেসবুক পেজ থেকে গরু অর্ডার দিয়েছি। তারা ঈদের দিন সকালে গরু তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেবে। বিদেশে থাকায় সরাসরি হাটে গিয়ে গরু কিনতে পারছি না। তবে বাবা-মায়ের জন্য কোরবানি ব্যবস্থা ঠিকই করে দিয়েছি।
সাইফুলের মতো এমন আরও অনেক প্রবাসীই পরিবারের ঈদ আনন্দকে বাড়িয়ে দিতে ঝুঁকছেন অনলাইন হাটের দিকে। এতে অনলাইন বেচাকেনা যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে রেমিট্যান্সও।
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি ও ‘সাদেক অ্যাগ্রো’র মালিক ইমরান হোসেন বলেন, করোনার সময় অনলাইন হাট যে পরিমাণে সাড়া ফেলেছিল, কয়েকটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের দুর্নীতির কারণে সেটি এখন অনেকটা কমে গেছে। তবে এখনও আশানুরূপ পর্যায়ে আছে বেচাবিক্রি। সরকারের উচিত অনলাইন হাটকে মানুষের বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা। তাহলে গ্রামের একজন প্রান্তিক খামারিও সহজেই মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়া সরাসরি ক্রেতার কাছে কোরবানির পশু বিক্রি করতে পারবেন।
প্রবাসীদের গরু কোরবানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার বিদেশ থেকে অনেকেই পরিবারের জন্য অনলাইনে গরু কিনেছেন। প্রতি বছরই প্রবাসীদের গরু কেনার প্রবণতা বাড়ছে। এতে দেশে বিপুল অঙ্কের রেমিট্যান্সও আসছে। তাই সরকারের উচিত ডিজিটাল বা অনলাইনের হাটের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা। কারণ সরকার উদ্যোগ নিলে প্রবাসীরা অনলাইনে পশু কিনতে বেশি আস্থা পাবে। সাদেক অ্যাগ্রো থেকে এ বছর অনালইনে গরু বিক্রি প্রসঙ্গে তিনি জানান, এ বছর কুয়েত থেকে একজন প্রবাসী একটি গরু অর্ডার করেছেন। তবে সেটি তার পরিবারের জন্য নয়। ঈদের দিন কোরবানি করে মাংস গরিব মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেয়ার জন্য।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ