ঢাকা, রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

তবুও দামে উত্তাপ

প্রকাশনার সময়: ১৩ জুন ২০২৪, ০৮:০৮

ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র তিন দিন। তবে এরই মধ্যে কোরবানীর পশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। সরকারী হিসাবে, দেশে গতবারের তুলনায় এবার কোরবানীর পশুর মজুত বেশী। ফলে পশুর সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। তবে খামারীরা জানিয়েছেন, মজুত বেশী হলেও গোখাদ্যের দাম বেশী থাকায় এবার গরুর দাম কিছুটা বেশী পড়ছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, এ বছর পাশের দেশ থেকেও চোরাইপথে পর্যাপ্ত পশু আসছে। ফলে শেষ মুহূর্তে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

কোরবানীর পশুর দাম কেমন হবে? বাড়বে না কমবে— তা নিয়ে সবার আগ্রহ থাকে। এবার কোরবানীর পশুর দাম নিয়ে আশার কথা শোনাতে পারছেন না খামারীরা। তারা বলছেন, গোখাদ্যের দাম বাড়াসহ নানা কারণে এবার কোরবানীর পশুর দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বাড়বে। খামারীরা বলছেন, গত কয়েক মাসে সব ধরনের গোখাদ্যের দাম কেজিতে ৮-১০ টাকা বেড়েছে। গত ৪ মাসে প্রতি কেজি গমের ভুসিতে ৮ টাকা, বুটের খোসায় ১০ টাকা, চালের খুদে ৭ টাকা দাম বেড়েছে। এছাড়া চালের খুদ ও দানাদার ফিডে ৮-৯ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশী খামারের গরুর চিকিৎসা ব্যয়, গ্যাস-বিদ্যুৎসহ পরিচালন ব্যয় বেড়েছে। যার কারণে এ বছর প্রতি গরুতে ৫ থেকে ১০ শতাংশ দাম বৃদ্ধি পাবে। দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে খামারে আসা ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের আগ্রহ এখন ছোট গরুর প্রতি বেশী দেখা যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

রাজধানীর নারিন্দা ও বাসাবো এলাকার কয়েকটি গোখাদ্যের দোকানীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোখাদ্যের দাম সম্প্রতি বেড়ে গেছে। নারিন্দার একটি গোখাদ্যের দোকানী খোরশেদ আলম বলেন, গত কয়েক মাসের তুলনায় এ মাসে গম, ভুসি ও দানাদার ফিডে প্রতি কেজিতে ৮-১০ টাকা বেড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, চলতি বছরের শুরুতেও প্রতি কেজি গমের ভুসির দাম ৪৬ থেকে ৪৭ টাকা, বুটের খোসা ৫২ থেকে ৫৩ টাকা, চালের খুদ ২৯ থেকে ৩০ টাকা ও দানাদার ফিডের দাম ৪৯ থেকে ৫০ টাকা ছিল। তবে বর্তমানে প্রতি কেজি গমের ভুসি ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, বুটের খোসা ৬২ থেকে ৬৫ টাকা, চালের খুদ ৩৮ থেকে ৪০ টাকা ও দানাদার ফিড ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পানি-বিদ্যুৎ বাবদ খরচও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন খামারীরা। ফলে লালন-পালন খরচ বৃদ্ধি পেয়ে বাজারে গরুর দাম বেড়েছে।

কোরবানীর হাট শুরুর বেশ আগেই পশু বিক্রির আয়োজনে এবার ছোট ও মাঝারী গরুর চাহিদা বেশী বলে বাজার সূত্রে জানা গেছে। খামারীরা এর জন্য চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিকে দায়ী করছেন। ঢাকার বাজারেই এখন গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোরবানীর পশু আগেভাগে কিনতে পারলে কিছুটা কমে পাওয়া যায় বলে অনেকেই খামারে গরু বুকিং দিচ্ছেন। অনেকেই আবার হাটে গিয়ে গরু কেনার ঝামেলায় যেতে চান না বলে আগেভাগে কোরবানীর পশু কিনে ফেলছেন। কিছু ক্রেতা আবার অনলাইনেও গরু কেনার চাহিদা জানাচ্ছেন। খামার থেকে বা অনলাইনে গরু কিনলে ক্রেতারা সাধারণত ‘লাইভ ওয়েট’ বা ওজনের মাধ্যমে জীবন্ত পশুর দাম নির্ধারণ করেন। কেরানীগঞ্জের অ্যাপল অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী রোমান শরিফ জানান, এবার তিনি কোরবানীর জন্য ৭০টি গরু লালন-পালন করেছেন, যার মধ্যে ৩০টি এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এখন যে গরু আছে, সেগুলোর দাম ৩ থেকে শুরু করে ১২ লাখের মধ্যে। কম দামের গরু আগেই বিক্রী হয়ে গেছে। তবে গোখাদ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে, সেভাবে গরুর দাম বাড়ানো যায়নি। তাতে লাভ কমেছে।’

খামারীরা জানিয়েছেন, গত বছর লাইভ ওয়েট পদ্ধতিতে গরুর দাম প্রতি কেজিতে ৪৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। এ বছর ৫০০ টাকা কেজি হিসাবে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। লাইভ ওয়েট পদ্ধতিতে পুরো গরুর ওজনের ভিত্তিতে এর দাম নির্ধারণ করা হয়।

রাজধানীর নারিন্দা এলাকায় অবস্থিত আবদুল মালেক অ্যাগ্রো ফার্ম। এই খামারে শতাধিক গরু আছে। কোরবানীতে বিক্রির জন্য ৭০-৮০টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। গত কয়েক দিনে ৮-১০টি গরু বিক্রিও করা হয়েছে।

খামারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী ফেরদৌসের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আমাদের খামারে এক থেকে দেড় লাখ টাকার গরু রয়েছে। আবার ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার গরুও রয়েছে। গত কয়েক দিনে খামারে যেসব ক্রেতা ও দর্শনার্থী এসেছেন তাদের আগ্রহ ছোট গরুর প্রতি। কারণ এবার গরুর দাম বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে লাইভ ওয়েটে (ওজনে) গরু বিক্রি করা হয় না। আমরা আলোচনা করে গরুর সাইজ (বড়-ছোট) বিবেচনায় দরদাম করে বিক্রি করি। ‘প্রতিবছর এই সময়ে খামারে অনেক ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় হয়। এবার সেই তুলনায় এখনো ক্রেতা কম’ বলে জানান কাজী ফেরদৌস। গত কয়েক মাসে প্রতিটি গোখাদ্যে কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়েছে বলে দাবী করে তিনি বলেন, আমাদের খামারে একটা গরু সংগ্রহ করার পর প্রথমে চিকিৎসক দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। অনেক গরুর কিছু রোগ থাকে, সেগুলোর চিকিৎসা করানো হয়। চিকিৎসা ব্যয়ও বেড়েছে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কারণে খামার পরিচালনার ব্যয়ও বেড়ে গেছে। ফলে এবার কোরবানীতে গরুর দাম বাড়বেই, উপায় নেই। এবার দেশে কোরবানী দেয়া মানুষের সংখ্যাও কিছুটা কমবে বলে মনে করেন কাজী ফেরদৌস। তিনি বলেন, সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু মানুষের আয় তো বৃদ্ধি পায়নি। এদিকে দাম নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করে ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা তানভীর হাসান বলেন, দেশীয় পশুর পাশাপাশী এ বছর পাশের দেশ থেকেও চোরাই পথে পর্যাপ্ত পশু আসছে। ফলে শেষ মুহূর্তে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রতি বছরই খামারী ও সিন্ডিকেট মিলে প্রথম দিকে গরুর বাড়তি দাম হাকায় কিন্তু শেষ দিকে চোখের জলে বুক ভাসাতে হয়ে। এবারও তাই হবে।

পশুর জোগান বেশী

চলতি বছর ঈদ-উল আজহায় গতবারের তুলনায় পাঁচ লাখ অতিরিক্ত কোরবানী যোগ্য পশু জোগান দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে বলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আবদুর রহমান জানিয়েছেন। সম্প্র্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ‘এবার ১ কোটি ৩০ লাখের বেশী পশু সরবরাহের আয়োজন রাখা হয়েছে। অর্থাৎ গতবারের চেয়ে আরও ৫ লাখ বেশী পশু বাজারে পাওয়া যাবে।’

বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) জানিয়েছে, সারা দেশে সংগঠনটির ১৮ হাজারের বেশী সদস্যের প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম ১০টি করে গরু আছে। অনেক খামার আছে যেগুলোতে কয়েকশ’ পশুও আছে। সংগঠনটির নেতারা দাবী করছেন, যে পরিমাণ গরু এবার মজুত আছে, তাতে বাজারে গরুর সংকট হবে না। বিডিএফএর সাধারণ সম্পাদক শাহ ইমরান বলেন, গরু বিক্রিতে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

অনলাইনে বেচাকেনা যেমন

প্রতিবছরই প্রচলিত হাটের বাইরে অনলাইনকেন্দ্রিক গবাদিপশুর বেচাকেনা জমে ওঠে। মূলত কোভিড মহামারীর সময় থেকে কোরবানীর পশুর অনলাইন বাজার বড় হতে শুরু করে। এবারও অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা বেচাকেনা করছেন। তবে মূলত শহরের ক্রেতারা গরু কিনতে অনলাইনের ব্যবহার বেশী করেন। আর গ্রামের কোরবানীদাতারা এখনো প্রথাগত গরুর হাটের ওপরেই নির্ভর করেন।

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার বলেন, ‘অনলাইনে বেচাকেনা বাড়াতে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। অনেক ক্রেতা এটা পছন্দ করেন, কারণ এতে ঝামেলা কম।’ তিনি অবশ্য মনে করেন, অনলাইনেও গরু এবং কোরবানীর অন্য পশুর বেচাকেনা ঈদের ঠিক আগে জমে উঠবে।

এদিকে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মনে করছে, দেশে চাহিদার চেয়ে বেশী কোরবানীর পশু বিক্রীর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তারা বলছে, এ বছর কোরবানীর জন্য ১ কোটি ৩০ লাখের বেশী পশু রয়েছে। তাই এবার বিদেশ থেকে পশু (গরু-মহিষ) আমদানীর অনুমতি দেয়া হবে না। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, দেশে চাহিদা অনুযায়ী কোরবানীর পশু রয়েছে। এ নিয়ে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। পশু আমদানীর প্রশ্নই ওঠে না। যদি কেউ আমদানী করে তাহলে লোকসানে পড়বে।

প্রসঙ্গত: গত বছর সারা দেশে কোরবানী যোগ্য গবাদী পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি। তার মধ্যে ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি পশু কোরবানী করা হয়েছিল। কোরবানী হওয়া গবাদী পশুর মধ্যে গরু ৪৫ লাখ ৮১ হাজার ৬০টি, মহিষ ১ লাখ ৭ হাজার ৮৭৫টি, ছাগল ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৮টি, ভেড়া ৫ লাখ ২ হাজার ৩০৭টি এবং অন্যান্য পশু ছিল ১ হাজার ২৪২টি।

রাজধানীতে ২০ হাটে আজ থেকে পশু বিক্রী শুরু: ঈদ-উল আজহা উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশে জমতে শুরু করেছে কোরবানীর পশুরহাট। আজ বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় স্থায়ী দুইটিসহ ২০টি পশুর হাটে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানীর পশু বেচা-বিক্রি শুরু হবে। পশুর হাটগুলোতে চলছে এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। তবে এখন থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কোরবানীর পশু নিয়ে হাটগুলোতে আসতে শুরু করেছেন খামারীরা।

দুই সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় গাবতলীর স্থায়ী হাটসহ ৯টি হাট এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় সারুলিয়া স্থায়ী পশুর হাটসহ ১১টি হাট বসেছে। তবে এ বছর আদালতের নির্দেশনার কারণে আফতাবনগরে হাট বসবে না।

উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা পিয়াল হাসান জানান, রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবে স্থায়ী ১টি ও অস্থায়ী ৮টি হাট। এবার বৃহস্পতিবার (আজ) থেকে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত ৫ দিন হাট বসবে। কোরবানীর পশু কেনা-বেচা নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে যাতে করা যায় সে জন্য উত্তরের হাটগুলোতে সকল ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। বাজারে ক্রেতারা কোনো নগদ অর্থ না নিয়ে এসেও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পশু ক্রয় করতে পারবে জানিয়ে পিয়াল হাসান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইনস্ট্যান্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে যে কেউ টাকার লেনদেন করতে পারবে। এজন্য হাট এলাকায় অসংখ্য ব্যাংক বুথ থাকবে। এছাড়া হাটে আসা মুসলিম ক্রেতাদের অযু ও নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাটের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবার হাট ইজারাদারদের সতর্ক করা হয়েছে। কোনো বিক্রেতা যদি রাস্তায় হাট বসায় তবে ইজাদারের জামানতের অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হবে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক নজরদারী করবে বলেও জানান জনসংযোগ কর্মকর্তা। ঢাকা উত্তরে অস্থায়ী ৮টি হাটের মধ্যে রয়েছে— উত্তরা দিয়াবাড়ীর ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টর সংলগ্ন খালি জায়গা, তেজগাঁওয়ের ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন খালি জায়গা, খিলক্ষেত মস্তুল চেকপোস্ট ও তার পাশের পশ্চিমপাড়ার খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন-৬ (ইস্টার্ন হাউজিং) সংলগ্ন খালি জায়গা, ভাটারা সুতিভোলা খাল সংলগ্ন খালি জায়গা এবং মোহাম্মদপুর বছিলা পশুর হাট।

এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের বলেন, সারুলিয়ায় স্থায়ী হাটসহ ডিএসসিসি এলাকার ১১টি স্থানে পশুর হাট বৃহস্পতিবার (আজ) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বসবে।

মো. আবু নাছের জানান, প্রত্যেকটি হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য একটি করে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি কমিটিতে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এছাড়া ডিএসসিসি’র নির্ধারিত গাইডলাইনের বাইরে কোনো অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে সঙ্গে সঙ্গে তারা ব্যবস্থা নেবেন। কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের পাশাপাশী প্রত্যেকটি হাটে একটি করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে নগদ অর্থের লেনদেন ছাড়া ইনস্ট্যান্ট ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে ক্রেতা-বিক্রেতারা অর্থের লেনদেন করতে পারবেন। এজন্য পর্যাপ্ত ব্যাংক বুথের ব্যবস্থা থাকবে।

ঢাকা দক্ষিণে অস্থায়ী ১০টি হাটের মধ্যে রয়েছে— হাজারীবাগের ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন খালি জায়গা, খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন খালি জায়গা, রহমতগঞ্জ ক্লাবের কাছের খালি জায়গা, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী সংঘ ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গা, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন খালি জায়গা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দনিয়া কলেজ সংলগ্ন খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন খালি জায়গা, আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, শ্যামপুর কদমতলী ট্রাকস্ট্যান্ডের কাছের খালি জায়গার এবং কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন খালি জায়গা।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ