ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

৬ ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা মেয়র আতিকের

প্রকাশনার সময়: ১২ জুন ২০২৪, ১৪:৩৬

ঈদের দিন ৬ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ রাত ৮টার মধ্যে ঢাকা উত্তরের বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। সেইসঙ্গে নগরীর সড়কে পশুর হাট বসালে জামানত বাজেয়াপ্তের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

বুধবার (১২ জুন) সকালে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি নিয়ে গাবতলী ডিএনসিসি কাঁচাবাজারে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মেয়র বলেন, ‘গত বছর সবার চেষ্টায় উত্তর সিটি কর্পোরেশন ৮ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছিল। এবার আমাদের টার্গেট ছয় ৬ ঘণ্টার মধ্যেই কোরবানীর বর্জ্য অপসরণ করা। ৪০টি ট্রাক যুক্ত হওয়ায় এই বছর বর্জ্য অপসারণে আরও গতি বাড়বে। যে ৮টি আধুনিক কম্প্যাক্টর ট্রাক যুক্ত হল, এগুলো সাধারণ ট্রাকের চেয়ে দশগুণ বেশি বর্জ্য অপসারণে সক্ষম। কম্প্যাক্ট করার মাধ্যমে একসাথে অনেক বর্জ্য বহন করতে পারবে এই ট্রাকগুলো।’

৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণের সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘ঈদে বর্জ্য অপসারণের জন্য ১০ হাজারের অধিক কর্মী কাজ করবে। ১০ লাখ ৪০ হাজার পলিব্যাগ বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্লিচিং পাউডার, স্যাভলন, টুকরী, ফিনাইল দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলররা ও ডিএনসিসির কর্মীরা মাঠে সার্বক্ষণিক কাজ করবে। আমি নিজে মাঠে থাকবো। জনগণকে অনুরোধ করছি, যত্রতত্র কোরবানির বর্জ্য ফেলবেন না। নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দিবেন। গতবারের মতো জনগণের সহযোগিতা পেলে নির্ধারিত ৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করবো।’

‘হাটের নিয়ম ভেঙে সড়কে কেউ হাট বসালে ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে হুঁশিয়ারি জানিয়ে মেয়র বলেন, নিয়ম ভাঙলে ১০ শতাংশ যে সিকিউরিটি মানি রাখা হয়েছে, সেটি বাজেয়াপ্ত করে দিব। অন্যান্য বছর দেখেছি ইজারাদার হাটের বর্জ্য দ্রুত সময়ে অপসারণ করে না। তাই এবছর আমরা পরিচ্ছন্ন ফি কেটে রেখেছি। সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরাই যথাসময়ে কোরবানির হাটের ময়লা পরিষ্কার করে ফেলবে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হাসনাত মো. আশরাফুল আলম এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ