সারা দেশে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। রোদের তীব্রতা না থাকলেও বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় সর্বত্র বিরাজ করছে ভ্যাপসা গরম। গরমের তীব্রতায় ছোট-বড় সবার মাঝে চলছে হাঁসফাঁস অবস্থা। এতে করে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের খুব ঘামতে দেখা যাচ্ছে। নিজেকে একটু শীতল পরশ দিতে কেউবা পান করছেন ঠান্ডা শরবত। আবার অনেকে বাতাস করার জন্য কিনছেন হাতপাখা। রাজধানীতে চলছে ঠিক এমনই এক কঠিন অবস্থা!
প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকেই। যারা ‘দিন আনে দিন খায়’, তাদের ঘর থেকে বের না হয়ে উপায় নেই। জীবিকার তাগিদে কাজের জন্য বের হতে হচ্ছে খেটে খাওয়া এই নিম্ন আয়ের মানুষগুলোকে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানা যায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারী অবস্থায় রয়েছে।
রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও চাঁদপুর জেলাসমূহের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে করে অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ