ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপে ৬০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়; বিরতিহীনভাবে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে স্থগিত হওয়া ২০ উপজেলার ভোট ৯ জুন অনুষ্ঠিত হবে।
উপজেলাগুলোতে ভোট উপলক্ষে এদিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
এদিকে নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, ভোট কেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভোটদানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৬৭ হাজার ৭০৭ জন সদস্য মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।
চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে প্রস্তুতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও আনসারের এক লাখ ১০ হাজারের বেশি সদস্য মাঠে রয়েছেন। নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় ১৭ উপজেলায় অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আশা করছি, নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে।
চতুর্থ ধাপে ৬০টি উপজেলায় একজন চেয়ারম্যান, তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এরইমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৫১, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০৫ জনসহ মোট ৭২১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ধাপে মোট ভোটার ২ কোটি ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৫ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৭ হাজার ৮২৫টি। নির্বাচনে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকছে ১৬৬ প্লাটুন বিজিবি।
দেশের ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয়েছে ৮ মে। এসব উপজেলায় গড়ে প্রায় ৩৬ শতাংশ ভোট পড়ে। প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৮ জন নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচিত হন ২২ জন। ২১ মে অনুষ্ঠিত এ ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৮ শতাংশ। ২৯ মে তৃতীয় ধাপের ৮৭টি উপজেলার নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর ২৩টি উপজেলার নির্বাচন নানা কারণে বাতিল ও স্থগিত হয়েছে।
৬০টি উপজেলায় ৫ হাজার ১৪৪টি ভোটকেন্দ্র এবং ১ কোটি ৪৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮২০ জন ভোটার রয়েছেন।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ