কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাটে খুন হন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। রহস্যে ঘেরা এ হত্যাকাণ্ডের পর ধীরে ধীরে সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর সব রোমহর্ষক তথ্য।
সোমবার (৩ জুন) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান এ আবেদন করেন।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরও দুজনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় মোট ১০ আসামির ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য সরবরাহ করতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া (৫৬), তানভীর ভূঁইয়া (৩০), শিলাস্তি রহমান (২২), আখতারুজ্জামান শাহীন (৫৩), মো. সিয়াম হোসেন (৩৩), ফয়সাল আলী (৩৭), মোস্তাফিজুর রহমান (৩৩), চেলসি চেরী (২১), তাজ মোহাম্মদ খান (৬০) এবং মো. জামাল হোসেন (৫২)।
আবেদনে বলা হয়, ঘটনায় জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামিদের নাম- ঠিকানা সংগ্রহ তথা মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বর্তমানে পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এ অবস্থায় মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের এনআইডি ও পাসপোর্ট নম্বরের বিপরীতে কোন ব্যাংকে কয়টি একাউন্ট আছে তার তথ্য সরবরাহ করার জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে আদেশ দেয়া একান্ত প্রয়োজন।
প্রাথমিক তদন্তে ও গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা ভুক্তভোগীকে কলকাতার নিউটাউন এলাকার ভাড়াকৃত বাসায় নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে প্রমাণ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে মরদেহের হাড় ও মাংস আলাদা করে মাংসপিণ্ড টয়লেটের কমোডে ফেলে দেয় এবং হাড়গুলো গারবেজ পলিতে ভরে ট্রলি ব্যাগে করে আশপাশের বর্জ্যখালে ফেলে দেয়। আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগীকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ড ও মরদেহ গুমের রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন গ্রেফতাররা।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ