অবশেষে ইভানা লায়লা চৌধুরীর (৩২) মৃত্যুর ঘটনায় মামলা নিয়েছে পুলিশ।
শনিবার রাতে সাড়ে ৯টার দিকে ইভানার স্বামী ও চিকিৎসককে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছেন তার বাবা আমানুল্লাহ চৌধুরী।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর শাহবাগের পরীবাগে শ্বশুরবাড়ি থেকে ইভানার (৩২) লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি রাজধানীর স্কলাসটিকা স্কুলের ক্যারিয়ার গাইডেন্স কাউন্সেলর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মামলার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ইভানার বোন ফারহানা চৌধুরী বলেন, আব্বা গতকালও গিয়েছিলেন। থানা মামলা নেয়নি। আজ থানা থেকে ডেকে পাঠিয়েছিল। পরে রাতে মামলা হয়।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যার পর প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও মামলা করতে পারেননি আমানুল্লাহ চৌধুরী। পরে তারা আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নেন।
মামলার এজাহারে আমানুল্লাহ চৌধুরী মেয়ের মৃত্যুর জন্য তার (ইভানার) স্বামীর অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়াকে দায়ী করেছেন। পাশাপাশি আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে এমন ওষুধ দেওয়ায় চিকিৎসককে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই চিকিৎসকের (নেফ্রোলজিস্টের) পরামর্শপত্র অনুযায়ী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ইভানাকে গত এক বছর ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছিল। ইভানা তার বন্ধুদের জানান, প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলার জন্য তার স্বামী রুম্মান তাকে (ইভানাকে) ঘুমের ওষুধ খাওয়াতেন।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ