প্রতি ভোরে ঘনিয়ে এলো কালো মেঘ। ঝুম বৃষ্টি। ৯টায় ঢুকতে হবে অফিসে। প্রস্তুত হয়ে সকাল পৌনে আটটায় বাইরে বেরিয়ে দেখা গেল গলির সড়কে হাঁটুপানি। রিকশা না পেয়ে প্যান্ট গুটিয়ে কোনোরকম গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে গেল মূল সড়কে। মাত্র টানা ঘণ্টা দেড়েকের বৃষ্টি হলেই এ অবস্থার সম্মুখীন হতে হয় রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ মানুষের। এমনটাই নিজের ভোগান্তির বর্ণনা করছিলেন বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা জামিল জাহিদ।
তিনি বলেন, ‘ঢাকায় একটু বৃষ্টি হলেই রাজধানীর সড়কে পানি জমে যায়। ঢাকায় আছি ২০ বছর। কোনো পরিবর্তন নেই। প্রতি বছর শুধু আশ্বাস শুনি। কাজ হয় না। অফিসে যেতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বাহন পাওয়া যায় না। পোশাক-আশাক ভিজে যায়। তিনগুণ রিকশা ভাড়া দিয়ে অফিসে আসা-যাওয়া করতে হয়।’
গত সোমবার থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে হওয়া বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে থই থই পানি দেখা যায়। বৃষ্টি বাড়ার পাশাপাশি সড়কে বাড়ে পানি। ভোগান্তিতে পড়েন সব শ্রেণীর মানুষ। খিলক্ষেত, মিরপুর, শান্তিনগর, বাড্ডা, নিউমার্কেটসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে ভোগান্তির সৃষ্টি হতে দেখা গেছে।
দুর্যোগ, সাধারণ বৃষ্টি কিংবা বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টি— যেটাই হোক না কেন জলাবদ্ধতা ঢাকার মানুষের এসময় সঙ্গী হয়। মূল কথা টানা বৃষ্টি মানেই ঢাকার সড়কে জলাবদ্ধতা। বর্ষা মৌসুমে পানির প্রবাহ বেশি থাকায় জমা পানি অনেক সময় নামতে দেরি হয়। বাড়ে ডেঙ্গুর মতো রোগের উপক্রম।
নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উদ্যোগ রয়েছে। তবে কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না। প্রতি বছর জলাবদ্ধতা নিরসনের নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে সংস্থা দুটি। কিন্তু তার তেমন কোনো সুফল মিলছে না। বৃষ্টি হলেই নগরের প্রধান সড়ক থেকে অলি-গলি পর্যন্ত তলিয়ে যাচ্ছে পানিতে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হলে জলাবদ্ধতায় আরও নাকাল হবে নগরবাসী। তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সংশ্লিষ্টরা জানান, নগরে জলাবদ্ধতা নিরসনে তারা আরও মাসখানেক আগ থেকেই কাজ শুরু করেছেন। এখন সম্ভাব্য জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকাগুলোর ড্রেন, নালা, খাল পরিষ্কারে কাজ চলছে। আর যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা বেশি হয়, তা সমাধানে আলাদা প্রকল্প নিচ্ছে সংস্থা দুটি।
যদিও বিদ্যমান জনবল দিয়ে ঢাকার সব এলাকা জলাবদ্ধতামুক্ত রাখা সম্ভব নয় বলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি। একই সঙ্গে তারা আলাদা একটি জলাবদ্ধতা নিরসন বিভাগ চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। পাশাপাশি বিভাগ পরিচালনায় পর্যাপ্ত জনবলও চেয়েছে। গত ১১ মে সকালে রাজধানীতে টানা এক ঘণ্টা বৃষ্টি হয়। ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ বৃষ্টিতে কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমরপানি পর্যন্ত জমে যায়।
বৃষ্টির পানি জমে শুধু ভোগান্তি নয়, মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। গত বছর মিরপুরে কমার্স কলেজ সংলগ্ন ঝিলপাড় বস্তির বিপরীত পাশের রাস্তায় বৃষ্টিতে জমা পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের চারজন মারা যান। এ ঘটনার পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলেও বর্ষাকাল যেতেই মানুষ ভুলে গেছে। সেই জলাবদ্ধতারও কোনো সুরাহা হয়নি।
ডিএনসিসি: ১৯৬ দশমিক ২২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত ডিএনসিসি। এখন সংস্থাটির ওয়ার্ড সংখ্যা ৫৪টি। ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্র জানায়, গত ১১ মে বৃষ্টিতে ডিএনসিসি এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক সড়ক-গলিতে বৃষ্টির পানি জমে। এর মধ্যে ভাটারার সোলমাইদ ছাপড়া মসজিদ এলাকায় হাঁটু সমান পানি জমে যায়। নতুনবাজারে প্রগতি সরণিতেও জমে যায় পানি। খিলক্ষেত, দক্ষিণখান, উত্তরখান, মিরপুর-১০ থেকে ১৪ নম্বর, আগারগাঁও থেকে জাহাঙ্গীর গেট যেতে নতুন রাস্তায়, খামারবাড়ি থেকে ফার্মগেট, ফার্মগেট-তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, কালশী রোড, মেরুল বাড্ডা, ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকা, মোহাম্মদপুর, ইসিবি, নূরের চালা, বাড্ডাসহ বিভিন্ন স্থানে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত পানি জমে ছিল। এছাড়া পল্লবীর কালশী রোডে কোথাও বুক সমান পানি, আবার কোথাও হাঁটুপানি জমে।
এর মধ্যে কালশী রোডের ২২ তলা গার্মেন্টসের সামনে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে যান চলাচলই বন্ধ হয়ে যায়। কালশী রোডের ডি ব্লকের বাসিন্দা এনায়েত খান। তিনি গুলশান-২ এর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরে। আলাপকালে এনায়েত খান বলেন, গত বছর বর্ষা মৌসুমে কালশী রোডে পানি জমেছিল। এবার কয়েকদিন আগের বৃষ্টিতেও পানি জমে। সড়কের পানি নামতে ১০ ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। অথচ প্রতি বছর বর্ষার আগে জলাবদ্ধতা নিসরনের কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র। কিন্তু এ সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেই।
ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্র জানায়, ডিএনসিসি এলাকায় ১ হাজার ২৫০ কিলোমিটার ড্রেন রয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে এসব ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে। ডিএনসিসি ইব্রাহিমপুর, লাউতলা, কল্যাণপুর, রূপনগর, আব্দুল্লাহপুর, সিভিল অ্যাভিয়েশন, বাইশটেক, বাউনিয়া, প্যারিসসহ ২৯টি খালের বর্জ্যও অপসরণ করা হয়েছে। তারপরও কোথাও জলাবদ্ধতা হলে তাৎক্ষণিক ডিএনসিসির কুইক রেসপন্স টিম কাজ করবে। তবে খালে, ড্রেন, নালায় প্লাস্টিকের বোতলসহ বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য ফেলার কারণে বর্ষায় জলাবদ্ধতা হয় বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগে বৃষ্টি হলে শহরে যে পরিমাণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো সেটা অনেকাংশে সমাধান হয়েছে। এক সময় বিভিন্ন প্রধান সড়কেও কয়েকদিন জলাবদ্ধতা থাকত। এখন আর প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতা হয় না। অল্প সময়ের মধ্যেই পানি ড্রেন, নালা গড়িয়ে খাল-নদীতে চলে যায়। এখন অল্প কিছু এলাকার সড়কে পানি জমে।’
ডিএসসিসি: ডিএসসিসির প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, জলাবদ্ধতা নিরসনে তারা বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে ২০২০ সালে ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে শাখা-প্রশাখাসহ ১১টি খাল বুঝে নেয়। এসব খাল থেকে ক্রমান্বয়ে সব বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এখনো খালগুলোতে পানি প্রবাহ রাখতে নিয়মিত পরিষ্কার রাখা হচ্ছে। এছাড়া বক্স-কালভার্ট ও নর্দমা পরিষ্কার করা হচ্ছে নিয়মিত। ১১ মে বৃষ্টিতে নিউমার্কেট, পুরান ঢাকার বংশাল, নাজিমুদ্দিন রোড, ধানমন্ডি ২৭, সায়েদাবাদ, শনির আখড়ার বিভিন্ন সড়কেও জলাবদ্ধ হয়। এর মধ্যে বংশাল ও নিউমার্কেট এলাকায় সবচেয়ে বেশি পানি জমেছিল। যদিও জলাবদ্ধতা নিরসনে বংশাল থানা এলাকার বিভিন্ন সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি করছে ডিএসসিসি।
আর নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প নেয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। ডিএসসিসির প্রকৌশল দপ্তর সূত্র জানায়, এখন নিউমার্কেটের জলাবদ্ধতা নিরসন বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য নতুন একটি প্রকল্পের দরপত্র আহ্বানের প্রস্তুতি চলছে। নিউমার্কেট থেকে পিলখানার ভেতর দিয়ে হাজারীবাগ সেকশনের দিকে লাইনটি যাবে। পরে তা বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলে গিয়ে মিলবে। তবে কবে নাগাদ এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে আর শেষ হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
রেমালের প্রভাবে বৃষ্টিতে সেই জলাবদ্ধতা: ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে গত ২৭ মে থেকে রাজধানীতে বৃষ্টি হচ্ছে। টানা বৃষ্টিতে ঢাকার নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় যথারীতি জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। মূল সড়কেই জমে গেছে হাঁটুপানি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বৃষ্টিতে অনেক দোকানপাট বন্ধ। মার্কেটের যেসব দোকান খোলা সেগুলোতেও ক্রেতা নেই। অলস সময় পার করছেন বিক্রেতারা। রাজধানীর নিউমার্কেট সংলগ্ন নূরজাহান মার্কেট ও ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের সামনেও পানি জমেছে। এছাড়া চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনের সড়ক, নিউমার্কেট কাঁচাবাজার সড়কেও পানি। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার করতে আসা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরও চরমে। ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় প্রায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। ওই বৃষ্টিতেও নিউমার্কেট, বংশাল এলাকায় হাঁটু থেকে কোমরপানি জমে যায়। দীর্ঘ সময় পরও পানি না নামায় দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা ও তদারকিতে গাফিলতির দায়ে পরদিন চার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছিল ডিএসসিসি।
নিউমার্কেটের দোকানি আবুল কালাম বলেন, গত বছর বৃষ্টিতে নিউমার্কেট তলিয়ে গেছিল। সেই পানি সরতে তিনদিন সময় লাগে। আর বৃষ্টির পানিতে দোকানের অধিকাংশ মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। এখন বৃষ্টি হলেই আতঙ্ক লাগে। এবারো একই অবস্থা। কিন্তু এ জলাবদ্ধতা নিরসনে নগর কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। জানতে চাইলে ডিএসসিসির পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের জানান, তারা অনেক আগ থেকেই এ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে এবার বর্ষা মৌসুমে কাজ করা না গেলেও শীতের শুরুতে প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করা যাবে। প্রকল্পটি বাস্তায়ন হলে নিউমার্কেট এলাকায় পানি জমবে না। গত ১৭ এপ্রিল প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমের আগে সূচি অনুযায়ী বক্স কালভার্ট, খাল ও নর্দমাগুলো পরিষ্কার আছে কি না তা দেখতে পান্থকুঞ্জ পার্ক এলাকা পরিদর্শন করেন ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
তখন তিনি নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান। ডিএসসিসি মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেন, গত বছর কয়েকটি জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছে, বিশেষ করে নিউমার্কেটের সামনে ও শান্তিনগরে। যেসব কারণে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আমরা সেগুলো পরিষ্কার করেছি। আশা করি এবার আর জলাবদ্ধতা হবে না। ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতা নিরসনের ক্ষেত্রে প্রত্যাশার তুলনায় প্রাপ্তি কম বলে মনে করেন ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম। আইপিডি নির্বাহী পরিচালক বলেন, ঢাকা শহর আজ থেকে ৪০০ বছর আগের। দীর্ঘ এই সময় আমরা শহরের ন্যাচারাল ড্রেনেজ ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছি। নগরায়নের ফলে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে গেছে। মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, এখন আর্টিফিশিয়াল (সিটি করপোরেশনের কংক্রিটের ড্রেন, নালা) দিয়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন জলাবদ্ধতা নিরসন করতে চাইছে। কিন্তু এটি দিয়ে কোনো ক্রমেই পুরোপুরিভাবে জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবে না। আবার আগের ন্যাচারাল অবস্থায়ও ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই দুই সিটি করপোরেশন যে প্রকল্পগুলো নেয়, তা যেন গবেষণার ভিত্তিতে নেয়। যেন ভবিষ্যতে আর কোনো সমস্যা না হয়।
জলাবদ্ধতা নিরসন বিভাগ: ২০১১ সালে স্থানীয় বিল-২০১১ অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) যাত্রা। পরে ২০১৬ সালে দুই সিটি করপোরেশনে ১৬টি ইউনিয়ন যুক্ত করা হয়। এতে বাড়ে ওয়ার্ড সংখ্যা। আগের ৩৬টির সঙ্গে নতুন ১৮টি ওয়ার্ড যুক্ত হওয়ায় ডিএনসিসির ওয়ার্ড হয় ৫৪টি। একইভাবে নতুন ১৮টি ওয়ার্ড যুক্ত হওয়ায় ডিএসসিসিতে মোট ওয়ার্ড দাঁড়ায় ৭৫টি। দুই সিটির আয়তন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেবার চ্যালেঞ্জ বাড়ে। সূত্র জানায়, জলাবদ্ধতা নিরসনে গত বছরের ১৪ জুলাই ডিএসসিসি ‘জলবদ্ধতা নিরসন শাখা’ নামে নতুন একটি বিভাগে কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক কার্যালয়ে মোট ১১৪টি পদ এবং বাজার, বিপণিবিতান নির্মাণ ও সংস্কার শাখার রাজস্ব খাতে ১৪টিসহ মোট ১২৮টি পদের একটি প্রস্তাবনা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। আর ডিএনসিসি ‘ড্রেনেজ সার্কেল’ নামে একটি বিভাগে ২৬৫টি ও সিটি স্যানিটেশন সেলে ৬৯টি পদ তৈরীর প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠায় গত অক্টোবরে। এরপর গত ১৪ মার্চ ডিএনসিসি ড্রেনেজ সার্কেলে ১৯৬টি এবং সিটি স্যানিটেশন সেলে ৬৬টি পদ তৈরির সংশোধিত প্রস্তাব পাঠায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে। তবে এখনো তা চূড়ান্ত অনুমোদন হয়নি।
জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রস্তাবিত ড্রেনেজ সার্কেল বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফারুক হাসান মো. আল মাসুদ বলেন, ‘ডিএনসিসির ড্রেনেজ সার্কেল ও সিটি স্যানিটেশন সেল বিভাগের জন্য নতুন পদ সৃষ্টির প্রস্তাব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পরে মন্ত্রণালয় সংশোধনী দিয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত সভা হয়নি। পরবর্তী সভা হলে আপডেট জানা যাবে।’
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ