ভাটার সময় ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানায় বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে উপকূলীয় অঞ্চল রক্ষা পেলেও ব্যাপক তছনছের ক্ষত রেখে গেছে। উপকূলীয় ছয় জেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। গৃহহীন হাজারো মানুষ। রেমালের তাণ্ডবে ভেঙে গেছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি। তলিয়ে গেছে হাজার হাজার একর ফসলের জমি, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। সীমাহীন দুর্ভোগে সময় কাটছে এসব এলাকার মানুষের। এদিকে বৃষ্টি ও প্রচণ্ড বাতাস অব্যাহত থাকায় এখনো আতঙ্ক কাটেনি উপকূলীয় জনপদে। রেমালের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে, ঘর ভেঙে এবং দেয়াল ধসে ছয় জেলায় শিশু ও নারীসহ ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রোববার দুপুর থেকে সোমবার দুপুরের মধ্যে পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা, ভোলা, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রামে এসব মৃত্যু ঘটে। এর মধ্যে পটুয়াখালীতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জোয়ারের মধ্যে ভেসে গিয়ে একজন এবং গাছ পড়ে দুই জন মারা গেছেন। সাতক্ষীরাতেও জলোচ্ছ্বাসে ভেসে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। বরিশালে ভবনের দেয়াল ধসে দুই জন, গাছ চাপায় এক জন মারা গেছেন। ভোলায় ঝড়ে ঘর ও গাছ চাপা পড়ে প্রাণ গেছে তিন জনের। খুলনায় ঘরের ওপর গাছ পড়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আর চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধসে এক পথচারী মারা গেছেন।
উপকূলীয় এলাকায় বিদ্যুৎবিহীন ২ কোটি ৭০ লাখ গ্রাহক
তিনি বলেন, গাছ উপরে পড়ে, জলোচ্ছ্বাসের পানিতে ডুবে, দেয়াল ধসে এবং আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পথে এসব মৃত্যু হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ইতোমধ্যে ৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। আর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি ঘরবাড়ি। ঘূর্ণিঝড়ে ১৯টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে আছে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও যশোর। প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার সংখ্যা ১০৭ এবং ইউনিয়নের ও পৌরসভার সংখ্যা ৯১৪। রেমালে মোট ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন মানুষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এটা আগের তুলনায় অনেক বেশি। অনেক এলাকায় এখনো জলাবদ্ধতা আছে। মাছের ঘের, গাছপালা নষ্ট হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বিস্তারিত জানানো হবে।”
রেমালের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড উপকূল, এখনও আতঙ্ক কাটেনি
গত ২২ মে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়, যা ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ দশা পেরিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় শনিবার সন্ধ্যায়। তখন এর নাম দেয়া হয় রেমাল। রোববার সকালে ঘূর্ণিঝড়টি পরিণত হয় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে।ঘূর্ণিঝড় রেমালে উত্তাল সাগর, গোসল করছেন পর্যটকেরা
এর প্রভাবে রোববার বিকাল থেকেই উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়। পরদিন সকাল থেকে সারা দেশেই বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়ে দুর্বল হয়ে আসে রেমাল।ঝড়ের বিপদ কেটে যাওয়ায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে ও সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান জানান, উপকূলে মোট ৯ হাজার ৪২৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন আট লাখেরও বেশি মানুষ। গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়াসহ আশ্রিত পশুর সংখ্যা ৫২ হাজার ১৪৬টি। দুর্গত লোকজনকে চিকিৎসা সেবা দিতে ১৪০০ মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি। মহিববুর বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ইতোমধ্যে ৩ কোটি ৮৫ লাখ নগদ টাকা, ৫,৫০০ টন চাল, পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, শিশুদের খাবারের জন্য দেড় কোটি টাকা এবং গোখাদ্যের জন্য দেড় কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদক, ব্যুরো প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের খবরে আরো বিস্তারিত—
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী: ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে জনপ্রতিনিধিসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আবহাওয়া একটু স্বাভাবিক হলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দলের সংশ্লিষ্ট সাংগঠনিক ইউনিটগুলো ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে যাবে। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। এ সময় ঘূর্ণিঝড়ে ছয়জন প্রাণ হারানোয় তাদের প্রতি শোক এবং তাদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানান ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুর্যোগে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে সহযোগিতার নামে ফটোসেশন করে বিএনপি। বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল হলেও তারা মানবিক কোনো কর্মসূচিতে মাঠে থাকে না। বিভিন্ন সময় সহায়তার নামে ফটোসেশনে ব্যস্ত থাকে।
খুলনায় ৩৬ স্থানে বাঁধে ভাঙন : ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে খুলনার দাকোপ, পাইকগাছা ও কয়রার ৩৬ স্থানে বাঁধে ভাঙন ধরেছে। লবণাক্ত পানিতে প্লাবিত হয়েছে বহু এলাকা। ভেঙে গেছে ঘরবাড়ি। ভেসে গেছে মাছের ঘের।
জানা গেছে, দাকোপ উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়নের কালাবগী ফকিরকোনা, ঝুলন্তপাড়া এবং পণ্ডিতচন্দ্র স্কুলসংলগ্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়া বাজার, কামিনীবাসিয়ায় বাঁধ ভাঙছে। পাইকগাছা উপজেলার লস্কর গ্রাম, বাইনতলা ওয়াপদা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন পোল্ডারে পাউবোর বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রামে লবণাক্ত পানি ঢুকছে। চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়ে মাছ ভেসে গেছে। গড়ইখালীর কুমখালীর ক্ষুদখালী, লস্করের বাইনতলা, লতা, দেলুটি, হরিঢালী, লস্কর রাড়ুলী, কপিলমুনি, সোলাদানার কয়েকটি পয়েন্টে বাঁধ উপচে লোকালয়ে লবণাক্ত পানি ঢুকছে। সোমবার সকালে এলাকার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ রক্ষার কাজ করেছেন। খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল হুসাইন খান বলেন, ‘ঝড়ে দাকোপের সাড়ে ১০ হাজার ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ১৬ হাজার ৯০৫টি ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। পানখালী, তিলডাঙ্গা। সুতারখালী এলাকা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খুলনা জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন, ‘দাকোপ উপজেলার তিলডাঙ্গা, বটবুনিয়া, কামিনিবাসিয়া, তেতুলতলা, পানখালী, লক্ষ্মীখোলা, গোনা মোল্লাপাড়া, কালিবাড়ি এলাকায় ভাঙন ধরেছে।’
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম তরিক উজ জামান বলেন, ‘কয়রায় এখনো দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে। বাইরে বের হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। ঝড়বৃষ্টি চলছে। দশহালিয়া, নয়ানি এলাকায় ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ বন্ধে তাৎক্ষণিক মেরামত কাজ করা হয়েছে।’
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে পাইকগাছা উপজেলার ৫৬টি ভোটকেন্দ্র আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ৩২টি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। পাইকগাছা উপজেলায় ওয়াপদা বাঁধের সোলাদানা ইউনিয়নে ৪টি, লাম্বর ইউনিয়নে ২টি, দেলুটি ইউনিয়নে ৮টি, গড়ইখালী ইয়ানিয়নে ২টি, রাছুলী ইউনিয়নে ১টি, হরিঢালী ইউনিয়নে ১টি, কপিলমুনি ইউনিয়নে ১টি, গদাইপুর ইউনিয়নে ১টি ও পাইকগাছা পৌরসভায় ১টিসহ মোট ২১টি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙেছে। ‘প্লাবিত এলাকার মধ্যে রয়েছে সোলাদানা ইউনিয়ন, দেলুটি ইউনিয়ন, রাফুলী ইউনিয়ন, লতা ইউনিয়ন, লস্কর ইউনিয়ন, গড়ইখালী ইউনিয়ন। মানুষ পানিবন্দি রয়েছে সোলাদানা ইউনিয়ন, দেলুটি ইউনিয়ন, রাফুলী ইউনিয়ন, লতা ইউনিয়ন, লঞ্চর ইউনিয়ন, গড়ইখালী ইউনিয়নসহ মোট ৬টি ইউনিয়নে। পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ থেকে ভোটকেন্দ্রে যাতায়াতের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সোলাদানা ইউনিয়ন ১১টি পয়েন্ট, দেলুটি ইউনিয়ন, গড়ইখালী ইউনিয়ন ৯টি, কপিলমুনি ইউনিয়ন ২টি, লতা ইউনিয়ন ৩টি, হরিঢালী ইউনিয়নে ১টি পয়েন্টেসহ মোট ৬টি ইউনিয়নর ৩২টি পয়েন্টে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, ঝড়-বাতাস এবং ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। উপজেলায় সম্পূর্ণভাবে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে। যাতায়াতের রাস্তায় একাধিক স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়েছে এবং অনেক জায়গায় রাস্তা ভেঙে গেছে।
সাতক্ষীরায়: ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করলেও তার প্রভাবে সাতক্ষীরায় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো বাতাসে উপকূলীয় এলাকার কাঁচা ঘরবাড়ি পড়ে গেছে। অতিবর্ষণে জেলার বিভিন্ন এলাকায় চিংড়িঘের তলিয়ে গেছে। উপড়ে ও ভেঙে পড়ছে গাছগাছালি। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে শ্যামনগর এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন বলছে, ঘূর্ণিঝড়ে জেলার ৭৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪৩টি ইউনিয়নে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ১ হাজার ১৯২টি ও সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ২৭৬টি ঘরবাড়ি। মারা গেছেন একজন। সাতক্ষীরা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জুলফিকার আলী বলেন, সুন্দরবন এলাকায় কতটা বৃষ্টি হয়েছে, তা রের্কড করার মতো প্রযুক্তি তাঁদের নেই। তবে সাতক্ষীরা শহরে রোববার বেলা তিনটা থেকে সোমবার বেলা তিনটা পর্যন্ত ১৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এটাকে অতিভারী বর্ষণ বলা হয়ে থাকে। সরেজমিনে শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী, আঠুলিয়া, মুন্সীগঞ্জ কৈখালী রমজাননগর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ ভেঙে কিংবা উপচে লোকালয়ে পানি ঢোকেনি। তবে অতিবর্ষণে বাড়ির আঙিনায় ২-৩ ফুট পানি জমেছে। আঠুলিয়া ও কালীগঞ্জের ঋষিপাড়ায় অনেকগুলো কাঁচা ঘরবাড়ি পড়ে গেছে। শ্যামনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় চিংড়িঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। শ্যামনগর থেকে সাতক্ষীরাগামী সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে অথবা ডাল ভেঙে পড়েছে।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ