শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

উপকূল পার হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল, ধীরে ধীরে হবে দুর্বল

প্রকাশনার সময়: ২৭ মে ২০২৪, ০৯:৪৬ | আপডেট: ২৭ মে ২০২৪, ১০:০৯

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের কেন্দ্র বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম শেষ করেছে। আর ২ ঘণ্টার মধ্যেই এটি প্রবল থেকে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এরপর এটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। ঘূর্ণিঝড়টির পুরো প্রভাব শেষ হতে আরও ৫-৬ ঘণ্টা লাগতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বাংলাদেশ উপকূল এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলে আঘাত হেনেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এরপর শক্তিশালী এ ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গে রাতভর তাণ্ডব চালিয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি রোববার (২৬ মে) রাত ৮টার দিকে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত করে। এরপর উপকূল থেকে শুরু করে সারা দেশে বৃষ্টি শুরু হয়।

আজ সোমবার (২৭ মে) সকাল ৮টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কেন্দ্র বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে।

বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে বৃষ্টিসহ দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত ছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৩-৪ ঘণ্টিায় মংলাবন্দরের নিকটবর্তী পশ্চিমবঙ্গের সাগর আইল্যান্ড (সাগর দ্বীপ) থেকে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করেছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র অতিক্রমের পর নিম্নভাগ অতিক্রম করতে থাকে।

এটি এখন খুলনা ও কয়রার দিকে আছে। এখনো এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় অবস্থায় আছে। তবে ২ ঘণ্টার মধ্যেই এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এরপর এটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পুরোপুরি শেষ হতে ৪-৫ ঘণ্টা লাগতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজ সারা দেশেই বৃষ্টি হবে।

এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে রোববার বিকাল ও সন্ধ্যা থেকে বাগেরহাট, ভোলা, পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এতে মুঠোফোনের চার্জ হারিয়ে অনেকে হয়ে পড়েছেন যোগাযোগবিচ্ছিন্ন। ঢাকা থেকে গ্রামে থাকা স্বজনদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে না পাড়ার কথাও জানিয়েছেন কয়েকজন।

রোববার রাত ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলাসহ উপকূলের বিভিন্ন জেলায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। এর প্রভাবে বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ