মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১

স্বপ্ন বুনছেন বঙ্গবাজারের দোকান মালিকরা

প্রকাশনার সময়: ২৫ মে ২০২৪, ০৮:৫৫

সরু গলি, ছোট ছোট দোকান, ভেতরে ঘিঞ্জি পরিবেশ, ক্রেতাদের ভিড়ে ঠিকমতো নিশ্বাসও নেয়া যেত না। সেই ঘিঞ্জি বঙ্গবাজার নতুন রূপে ফিরবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছে। বঙ্গবাজারের নাম পরিবর্তন করে রাখা হচ্ছে ‘বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপণিবিতান’। গত বছরের অগ্নিকাণ্ডে নিজেদের সব হারিয়ে পথে বসেন ব্যবসায়ীরা। অগ্নিকাণ্ডে বঙ্গবাজারের আদর্শ হকার্স মার্কেটের এক সময়ের দোকানদার আমিনুল ইসলাম পাটোয়ারীর ১০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়। উল্লেখযোগ্য ক্ষতি সত্ত্বেও আমিনুল এখন নতুন ১০ তলা ‘বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপণিবিতান’-এ একটি দোকানের মালিক হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

গত বছরের ৪ এপ্রিল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় রাজধানীর সবচেয়ে পুরোনো ও জনপ্রিয় পাইকারি কাপড়ের মার্কেট বঙ্গবাজার। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না পারলেও টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যেতে পুড়ে যাওয়া মার্কেটের খালি জায়গায় চৌকি বসিয়ে ব্যবসা করছেন তারা। এবার ১.৭৯ একর জায়গার ওপর নির্মিত হবে ১০ তলা ভবন। প্রতিটি দোকান হবে ৮০ থেকে ১০০ বর্গফুটের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ২৫ মে ১০ তলা ভবন নির্মাণের কাজ উদ্বোধন করবেন। ১০ তলা বিশিষ্ট ভবনের সম্ভাব্য নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৮ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত এ বিপণিবিতানের নির্মাণ কাজ ২০২৮ সালে শেষ হতে পারে। আগ্রহী দোকান মালিকদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে।

আমিনুল বলেন, ‘আমার মতো দোকান মালিক যারা বঙ্গবাজারের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্য একটি আধুনিক শপিং মলে জায়গা পাওয়া স্বপ্নের মতো। গত বছরের অগ্নিকাণ্ডের পর আমি ভেবেছিলাম আমি কিছুই পাব না।’ তিনি আরও বলেন, নতুন মার্কেটে জায়গা নিশ্চিত করতে একজন দোকান মালিককে চলতি মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে তিন লাখ টাকা জমা দিতে হবে।

এ যাত্রায় আমিনুল একা নন। বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে দোকান হারানো ২ হাজার ৯৬১ জন দোকান মালিক নতুন মার্কেটে জায়গা বরাদ্দ পাবেন।

জানা গেছে, বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপণিবিতান ১.৭৯ একর জমির ওপর নির্মিত একটি ১০ তলা ভবন হবে যেটিতে ৎচারটি ব্লক, পাঁচটি সাধারণ সিঁড়ি, ছয়টি জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি এবং ৮০ থেকে ১১০ বর্গফুটের ৩ হাজার ২১৩টি দোকান থাকবে। প্রতি তলায় ২৫০ বর্গফুটের ফুড কোর্ট এবং আলাদা টয়লেট ব্লকও থাকবে। মার্কেটটিতে আটটি লিফট থাকবে, চারটি যাত্রীদের জন্য এবং চারটি পণ্যের জন্য। মার্কেটের চারপাশের রাস্তাগুলো সহজে প্রবেশের সুবিধার জন্য ৭ থেকে ১০ ফুট চওড়া হবে। ভবনটিতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাসহ ১৬৯টি গাড়ি ও ১০৯টি মোটরসাইকেলের জন্য ভূগর্ভস্থ পার্কিং থাকবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বঙ্গবাজার, গুলিস্তান, মহানগর এবং আদর্শ হকার্স মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের জন্য ২ হাজার ৯৬১টি দোকান বরাদ্দ দেয়া হবে। এতে অতিরিক্ত ২৪৪টি দোকান থাকবে যা নিয়ম অনুযায়ী একটি আবেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বরাদ্দ দেয়া হবে। ঢাকা দক্ষিণের চিফ এস্টেট অফিসার কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী বলেন, ‘দোকান বরাদ্দের জন্য অগ্রাধিকার দেয়া হবে বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের। বাকি দোকানগুলো একটি খোলামেলা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বরাদ্দ দেয়া হবে। দোকানের থেকে বেশি আবেদন এলে লটারি করা হবে।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মতে, প্রতি বর্গফুটে ৫ হাজার ৫’শ টাকা খরচে আনুমানিক ৩৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ের মার্কেটটির নির্মাণ কাজ ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে এবং ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং দ্বারা এর নির্মাণ কাজ পরিচালিত হবে।

প্রকল্প পরিচালক ও ঢাকা দক্ষিণের সুপারিনটেনডিং ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ তাওহিদ সিরাজ বলেন, ‘একটি মার্কেট ভবন তৈরি করতে ৩-৪ বছর সময় লাগে। তবে আমরা ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়েছি। মালিকরা পর্যায়ক্রমে টাকা পরিশোধ করবেন এবং মার্কেটের জন্য সেই অনুযায়ী নির্মাণ কাজ চলবে।’

ঢাকা দক্ষিণের প্রকৌশল বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, পুড়ে যাওয়া মার্কেটটিতে আগে দোকানের আকার ছিল ১৭ থেকে ২২ বর্গফুট। কিন্তু নতুন মার্কেটে দোকানের আকার ৮০ থেকে ১২০ বর্গফুটের মধ্যে থাকবে। বড় দোকানের আকারের কারণে মালিকদের অবশ্যই প্রাথমিকভাবে এ মাসে ৩ লাখ টাকা জমা দিয়ে নির্মাণ কাজ চলাকালীন আরও কিছু টাকা জমা দিতে হবে। নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই আনন্দিত যে বঙ্গবাজার মার্কেট ভবনের কাজ শুরু হচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রী সেটি উদ্বোধন করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্মাণ শুরু করতে যে তহবিল দরকার তা সিটি করপোরেশনের কাছে ইতোমধ্যেই রয়েছে। বঙ্গবাজারে অস্থায়ী দোকান বরাদ্দের সময় দোকান মালিকরা আগে এক লাখ টাকা করে জমা দিয়েছিলেন। আর এ আমানত এখন ৪২ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।’

তিনি জানিয়েছেন, প্রত্যেক দোকান মালিক সোমবার তিন লাখ টাকা জমা দেয়ার চিঠি পেয়েছেন। এদিকে বঙ্গবাজার মার্কেটটি মূলত বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স, আদর্শ ইউনিট, মহানগর ইউনিট ও গুলিস্তান ইউনিট নিয়ে গঠিত ছিল। গত বছরের ৪ এপ্রিল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সবগুলো মার্কেটই পুড়ে যায়। এছাড়া মহানগর শপিং কমপ্লেক্স, এনেক্সকো টাওয়ার, বঙ্গ হোমিও মার্কেট এবং বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেটের কিছু অংশও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে তিন হাজার ৮৪৫ জন ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৩০৩ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। পুড়ে যাওয়া পুরাতন বঙ্গবাজারকে আধুনিক বহুতল বাণিজ্যিক কেন্দ্রে রূপ দিতে যাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। কয়েকদিন পর শুরু হবে এর নির্মাণ কাজ।

দোকান মালিক জব্বার মিয়া বলেন, ‘পুড়ে যাওয়ার পর বঙ্গবাজারে আর ব্যবসা নেই। খোলা আকাশের নিচে এতদিন দোকান পরিচালনা করলাম। ক্রেতা আর সেভাবে আসে না, এখন এসব দোকান দেখলে মনে হয় এটা ফুটপাতের দোকান। নতুন করে আধুনিক বহুতল মার্কেট নির্মাণ খুশির খবর। তবে সিটি করপোরেশনের কাছে অনুরোধ প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা যেন মার্কেটের দোকান বরাদ্দ পান।’ এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মুখপাত্র আবু নাছের বলেন, গত বছরের ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে সংগঠিত ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নতুন করে বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপণিবিতান নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আধুনিক এই নগর বিপণিবিতান নির্মাণে কত টাকা খরচ হবে?: ‘বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপণিবিতান’ নির্মাণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সম্ভাব্য ব্যয় ধরেছে ৩৩৮ কোটি টাকা। ১০ তলা বিশিষ্ট ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোর ও বেজমেন্ট ছাড়াও থাকবে মোট আটটি ফ্লোর। ১.৭৯ একর জায়গার ওপর নির্মিত হতে যাওয়া বহুতল ভবনে থাকবে তিন হাজার ৪২টি দোকান। প্রতিটি দোকানের আয়তন হবে ৮০-১০০ স্কয়ার ফুট। ভবনটিতে থাকবে আটটি লিফট, এর মধ্যে চারটি থাকবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য। আর বাকি চারটি কার্গো লিফট থাকবে মালামাল ওঠা-নামানোর জন্য। এছাড়া থাকবে গাড়ি পার্কিং, খাবারের দোকান, সমিতির অফিস, নিরাপত্তা কর্মী এবং সেখানকার কর্মীদের আবাসন ব্যবস্থা। এর আগে তিনটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এ ভবন নির্মাণের জন্য নকশা প্রণয়ন করে।

যা থাকবে এ বিপণিবিতানে: ডিএসসিসির সংশ্লিষ্ট দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১০ তলাবিশিষ্ট আধুনিক এ ভবনে থাকবে বেজমেন্ট ও গ্রাউন্ড ফ্লোর। গ্রাউন্ড ফ্লোরে মোট ৩৮৪টি, প্রথম তলায় ৩৬৬টি, দ্বিতীয় তলায় ৩৯৭টি, তৃতীয় তলায় ৩৮৭টি, চতুর্থ তলায় ৪০৪টি, পঞ্চম তলায় ৩৮৭টি, ষষ্ঠ তলায় ৪০৪টি ও সপ্তম তলায় ৩১৩টি দোকান থাকবে। এছাড়া অষ্টম তলায় দোকান মালিক সমিতির অফিস, কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মীদের আবাসনের ব্যবস্থা রাখা হবে। ভবনের পার্কিংয়ে একসঙ্গে প্রায় ১৮৫টি গাড়ি ও ১১০টি মোটরসাইকেল পার্কিং করা যাবে। ভবনটিতে ২২টি খাবারের দোকান রাখা হবে। সেইসঙ্গে নকশায় আরও ৮১টির বেশি দোকান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি দোকানের আয়তন হবে ৮০-১০০ স্কয়ার ফুট।

ডিএসসিসির যতগুলো মার্কেট আছে তার মধ্যে বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপণিবিতান ভবনটি হবে সবচেয়ে আধুনিক। এর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশেনের মার্কেট নির্মাণ সেলের প্রকৌশলী তৌহিদ সিরাজ বলেছিলেন, ডিএসসিসির যতগুলো মার্কেট আছে তার মধ্যে বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপণিবিতান ভবনটি হবে সবচেয়ে আধুনিক।

যা বলছেন বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা: বঙ্গবাজারে নতুন বহুতল অধুনিক মার্কেট নির্মাণ হওয়া বিষয়ে বঙ্গবাজারের নিউ কালেকশন দোকানের মালিক ইমন আহমেদ বলেন, বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়ার পর এখানকার ব্যবসায়ীরা বলতে গেলে সবাই পথে বসে গেছেন। পরে টিকে থাকার লড়াইয়ে এখানে খোলা আকাশের নিচে আমারা ব্যবসা পরিচালনা করেছি। রোদ, বৃষ্টি, ঝড়, জলাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা এখানে ব্যবসার আশায় বসে থেকেছি। এ অবস্থায় নতুন বহুতল ভবনের কাজ শুরু হওয়ার খবর অবশ্যই আমাদের আনন্দের তবে আমাদের দাবি একটাই, যারা যোগ্য, যারা এখানেই ব্যবসা করে আসছেন সারা জীবন ধরে, তারাই যেন মার্কেটে দোকান বরাদ্দ পান।

হিরা ফ্যাশন নামের আরেক দোকানি জহুরুল ইসলাম বলেন, আমরাই যেন দোকান বরাদ্দ পাই এটাই আমাদের দাবি। আমারা ক্ষতির সম্মুখীন হলাম, তবুও টিকে থাকতে এখানেই অস্থায়ী দোকান বসিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এমন পরিস্থিতির পর মার্কেট নির্মাণ হলে বাইরের লোকরা এসে এখানে দোকান নিলে তা আমারা মেনে নেব না। আমারা চাই আমরা যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তারাই যেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথমেই এখানে দোকান বরাদ্দ পাই।

টপ কালেকশন নামের আরেক দোকানের মালিক জব্বার মিয়া বলেন, দোকান পুড়ে যাওয়ার পর বঙ্গবাজারে আর ব্যবসা নেই। খোলা আকাশের নিচে আমারা এতদিন বসে দোকান পরিচালনা করলাম। আগের তুলনায় অর্ধেকও ব্যবসা এখন আর হয় না। কারণ ক্রেতা আর সেভাবে আসে না, এখন এসব দোকান দেখলে মনে হয়, এটা ফুটপাতের দোকান। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে আধুনিক বহুতল মার্কেট নির্মাণ হওয়ার খবর আমাদের জন্য খুব খুশির খবর। আমরা প্রতিটি ব্যবসায়ীরা চাই যেন মার্কেট নির্মাণের পর বঙ্গবাজার সেই আগের বেচা কেনা, ব্যবসা ফিরে আসুক। শুনেছি আধুনিক মার্কেট হবে, তাতে আশা করছি আমাদের আগের ব্যবসা ফিরে আসবে। তবে সিটি করপোরেশনের কাছে অনুরোধ যেন প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরাই যেন মার্কেটের দোকান বরাদ্দ পান। এখানে যেন কোনো অসাধু চক্রের খপ্পর না থাকে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের ছাড়া বহিরাগত অন্যদের যেন প্রাধান্য দেয়া না হয়।

নয়াশতাব্দী/ডিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ