ঢাকা, শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১, ১০ রজব ১৪৪৬

‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছে’

প্রকাশনার সময়: ২৪ মে ২০২৪, ১৯:৫৪

বাংলাদেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলন, সেই আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছে মন্তব্য করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, প্রত্যেক মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মে) দিনাজপুর আদালত প্রাঙ্গণে নির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রত্যেক মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানে মানুষের মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ন্যায়কুঞ্জ আদালত চত্বরে আসা বিচারপ্রার্থী ও সাক্ষীদের আরাম-আয়েশের একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল। মানুষ আদালত চত্বরে এসে ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে কষ্ট পায়। সেই কষ্টকে লাঘব করতেই এই ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ করা হয়েছে। বিচারপ্রার্থী ও সাক্ষীরা এই ন্যায়কুঞ্জে বিশ্রাম নিতে পারবেন।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিচারপ্রার্থী ও সাক্ষীদের দুর্ভোগ লাঘবে সাবেক প্রধান বিচারপতিকে প্রত্যেক জেলায় ন্যায়কুঞ্জ বিশ্রামাগার নির্মাণ অনুরোধ করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় এই ন্যায়কুঞ্জ।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, বিচারকরা আন্তরিকতার সঙ্গে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, রেজিস্ট্রার হাইকোর্ট বিভাগ (বিচার ও প্রশাসন) এস কে এম তোফায়াল হাসান, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. সাইফুর রহমান, জেলা ও দায়রা জজ যাবিদ হাসান, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, স্পেশাল জজ রেজাউল ইসলাম, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার উল্ল্যাহ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৌহিদুল হক সরকার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আ ন ম হাবিবুল্লাহসহ জেলা জজশিপের বিচারক ও আইনজীবী সমিতির নেতারা।

১০০০ বর্গ ফুটের ন্যায়কুঞ্জ বিশ্রামাগারে নারী-পুরুষের জন্য আলাদাভাবে ভেতরে ৭০টি ও বাহিরে ৪০টি বসার স্থান রয়েছে। মহিলা ও পুরুষের পৃথক টয়লেট রয়েছে। মাতৃদুগ্ধ কক্ষ রয়েছে। অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থাও রয়েছে। সুপেয় পানি ও একটি দোকান রয়েছে। পুরো ন্যায়কুঞ্জে সিসি টিভি ক্যামেরায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে।

এরপর প্রধান বিচারপতি জজশিপের একটি কনফারেন্স রুমে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এর আগে প্রধান বিচারপতি একটি বকুল ফুলের গাছ এবং বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম সফেদা গাছ রোপণ করেন।

বেলুন উড়িয়ে ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে ন্যায়কুঞ্জের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ