চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার খুনের নেপথ্যে রয়েছে প্রায় একশ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা। অন্তত তিনটি স্বর্ণের চালান পাচারের পর ওই টাকা হুন্ডির মাধ্যেমে আনারের কাছে আসে। এরপর তিনি ওই টাকা আত্মসাৎ করেন। তবে ওই স্বর্ণের মালিক কে তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ঢাকা ও যশোরের কোনো মাফিয়া চক্র ওই স্বর্ণের মালিক। এমনকি যশোরের সাবেক এক এমপির নামও রয়েছে আলোচনায়। এমপি আনার খুনে প্রধান অভিযুক্ত কোটচাঁদপুর পৌর মেয়রের ভাই আক্তারুজ্জামান শাহীন ছিলেন মিডিয়া ম্যান। এ নিয়েই মূলত আনারের সঙ্গে বিরোধ চলছিল শাহীনের। এমপি আনার খুনের কারণ খুঁজতে গিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আমানউল্লাহ ওরফে শিমুল, তার বান্ধবী শিলিস্তি রহমান ও ফয়সালকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে তদন্ত তদারক সূত্রে জানা গেছে। যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি দায়িত্বপ্রাপ্তরা। তবে স্বর্ণের চোরা চালান নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এমপি আনার খুন হয়েছেন বলে কলকাতার সংবাদ মাধ্যেমে প্রকাশ পেয়েছে। সে দেশের তদন্ত সংস্থা সিআইডির বরাত দিয়ে এ সংবাদ ছাপা হয়।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, রাজনৈতিক, আধিপত্য বিস্তার ও অর্থনৈতিক নানা কারণে তিনি খুন হতে পারেন। তাকে হানিট্র্যাপও করা হতে পারে। আমাদের তদন্তে পর্যায়ক্রমে সব বিষয়ই আসবে। যারা সরাসরি কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছিল আমরা তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি।
এদিকে এমপি আনার খুনের পর তার লাশ গুম করতে হাড্ডি থেকে মাংস আলাদা করে ফেলার পর তাতে লবণ, মরিচ ও হলুদের গুঁড়াসহ নানা ধরনের মসল্লা মেশানো হয়। এরপর তা পলিথিনে করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেওয়া হয়। মসল্লা মেশানো হয় আইনের চোখ ফাঁকি দিতে। কারণ ওই মাংস দেখার পর অনেকের ধারণা হবে কোনো রেস্টুরেন্টের নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবারের মাংস ফেলে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আমানউল্লাহ ওরফে শিমুল, তার বান্ধবী শিলিস্তি রহমান ও ফয়সালকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান ডিবি প্রধান হারুণ-অর-রশিদ। গ্রেপ্তারকৃতদের আজ শুক্রবার আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান এ গোয়েন্দা প্রধান।
উল্লেখ্য, আনোয়ারুল আজিম আনার ঝিনাইদহ-৪ (সদর ও কালীগঞ্জ) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে টানা তিনবার আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। গত ১২ মে তিনি চিকিৎসার কথা বলে ভারতে যান। ওইদিন সন্ধ্যায় কলকাতার অদূরে ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকার বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনের স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও দীর্ঘদিনের বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে পৌঁছান তিনি। পরদিন ‘বিশেষ প্রয়োজনের’ কথা বলে গোপালের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান আনোয়ারুল আজিম। পরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে কলকাতার বরাহনগর থানায় ১৮ মে লিখিত ‘মিসিং ডায়েরি’ করেন গোপাল বিশ্বাস। ২২ মে তার হত্যার বিষয়টি জানাজানি হয়। তবে এখনো আনারের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ডিবির কাছে খুনিদের লোমহর্ষক বর্ণনা: দুই থেকে তিন মাস ধরে এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করে তার বাল্যবন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহীন! দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে তারা হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ভারতের কলকাতাকে বেছে নেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যলয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা দীর্ঘদিনের। আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তার বাল্যবন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন। শাহীনের পরিকল্পনায় হত্যার কাজটি করেন পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আমানউল্লাহ আমান ওরফে শিমুল। কলকাতায় গত ১৩ মে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনারকে অত্যন্ত নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, লাশ গুম করার জন্য পৈশাচিকভাবে মরদেহ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয়া হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে হারুন আরও বলেন, ঢাকার গুলশান ও বসুন্ধরায় বসে একাধিকবার আলোচনা করেছে হত্যাকারীরা। আনারকে হত্যা করতে প্রথমে তারা বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে চেয়েছিল। কিন্তু পরে ডিবির তদন্ত সক্ষমতার কথা চিন্তা করে তারা দেশের বাইরের মাটিতে পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত মাসের ২৫ তারিখ কলকাতায় তারা বাসা ভাড়া করে। নিহত সংসদ সদস্যের বন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহীন, তার বান্ধবী এবং পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আমান উল্লাহ আমান ওরফে শিমুল গত ৩০ এপ্রিল ঢাকা থেকে বিমানে কলকাতায় গিয়ে সেই বাসায় ওঠে। মূলত পরিবার নিয়ে থাকার তথ্য দিয়ে বাড়ির মালিকের সঙ্গে চুক্তি করে। তারা জানত ১২ মে সংসদ সদস্য কলকাতায় যাবেন। হত্যার পরিকল্পনাকারীরা ৩০ এপ্রিল কলকাতায় গিয়ে স্থানীয় দুজনকে ঠিক করে। তারা হলো, জিহাদ ওরফে জাহিদ ও সিয়াম। হত্যার পরিকল্পনাকারী শাহীন হত্যার পর কোন গাড়ি ব্যবহার করা হবে, কাকে কত টাকা দিতে হবে, সেগুলো ঠিক করে ১০ মে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। নিহত সংসদ সদস্য কলকাতায় যাওয়ার পর ১৩ তারিখ ওই বাসায় যান। যাওয়ার পথে একটি সাদা গাড়িতে করে ফয়সাল নামের এক ব্যক্তি তাকে নিয়ে যায়। গাড়িটি কিছু পথ যাওয়ার পর হত্যাকারী আমান উল্লাহ সেই গাড়িতে ওঠে। গাড়িটির চালক ছিল রাজা। সেই বাসায় (নিউ টাউন এলাকার সঞ্জিভা গার্ডেন) যাওয়ার পর মোস্তাফিজসহ তারা বাসায় প্রবেশ করে। বাসাটিতে আগে থেকে জাহিদ ও সিয়াম অবস্থান করছিল। ১৩ তারিখ দুপুর ২টা ৫১ মিনিটে বাসায় প্রবেশ করেন আনার। এর ৩০ মিনিটের মধ্যেই হত্যা করা হয় তাকে। হত্যার পর ঘাতকরা সংসদ সদস্যের মোবাইল ফোন দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠায়। এরপর তারা মরদেহের হাড় থেকে মাংস আলাদা করে। পরবর্তীতে দুটি ব্রিফকেসে করে জিহাদ ও সিয়াম মরদেহ গাড়িতে করে ফেলে দেয় যাতে আনারের চিহ্ন না থাকে। কাজ শেষ করে ১৫ তারিখ আমানউল্লাহ আমান ও শাহীনের প্রেমিকা শিরিস্তি দেশে ফিরে আসে। সবাই ফিরে আসায় হত্যার মাস্টারমাইন্ড শাহীন বিমানে করে দিল্লি, সেখানে ২ ঘণ্টার ট্রানজিট নিয়ে কাঠমান্ডু যায়। সেখান থেকে অন্য কোনো দেশে চলে যায়।
হারুন আরও বলেন, হত্যার বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর দেখা গেছে, হত্যাকারীরা তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতে নিহত সংসদ সদস্যের দুটি মোবাইল ফোন দুই দিকে নিয়ে যায়। এরপর তারা বিভিন্ন জনকে বার্তা পাঠায় ও কল করতে থাকে। এটা করে যাতে তদন্তকারীরা বুঝতে পারে তিনি জীবিত আছেন। এমনকি গত ১৮ তারিখ এমপির ব্যক্তিগত সহকারীকে একটি মেসেজ পাঠায় যাতে বলা হয়, ‘আমি দিল্লি যাচ্ছি। আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আছেন। দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে আমার একটি মিটিং আছে’। এ বার্তাগুলো আমরা যখন পেয়েছি তখনই বুঝতে পেরেছি হত্যাকারীরা নিজেদের আড়াল করতে এ বার্তা পাঠিয়েছে। হত্যাকারীরা দুটি মোবাইল কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চল ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় পাঠায়। সব কিছু মিলিয়ে তারা এ হত্যাটি করেছে, জানান হারুন।
তিন বছরে শাহীনের উত্থান: ঝিনাইদহ-৪ আসনের (কালীগঞ্জ) সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে পুলিশি তদন্তে আক্তারুজ্জামান শাহীন নামে এক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর নাম উঠে এসেছে। আক্তারুজ্জামান শাহীন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামের আসাদুজ্জামান কাঠু মিয়ার ছোট ছেলে ও কোটচাঁদপুর পৌরসভা মেয়র শহীদুজ্জামান সেলিমের ভাই। তার বাবা এক সময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই ছোট অবস্থায় লেখাপড়ার জন্য আমেরিকায় পাঠানো হয়। এরপর মাঝে মধ্যেই সে দেশে আসতেন। তবে সবশেষ তিন বছরের তার বিষয়ে স্থানীয়রা জানতে পারেন। এলাকায় উশৃঙ্খল ছেলেদের নিয়ে গড়ে তোলেন ক্যাডার বাহিনী। নাম লেখান স্বর্ণ চোরাকারবারী খাতায়। নিজ খরচে বড় ভাইকে বানান পৌর মেয়র। এরপর নিজ গ্রাম এলাঙ্গীতে গড়ে তোলেন খামারবাড়ি। সেখানে নিয়মিত আসা যাওয়া করতেন এমপি আনার।
কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী গ্রামের এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আক্তারুজ্জামান শাহীন পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। মাঝে মধ্যে তিনি কোটচাঁদপুর আসেন। কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামে আক্তারুজ্জামান শাহীনের একটি বাগানবাড়ি রয়েছে। আমেরিকা থেকে এলে সেখানে বন্ধুবান্ধব নিয়ে আড্ডা দিতেন। ওই বাগানবাড়িতে বিভিন্ন সময় নামীদামী অনেক লোক আসা যাওয়া করেন। রাতে সেখানে মদের আড্ডা আর সুন্দরী মেয়েদের নিয়ে আমোদ প্রমোদ করা হয়। সর্বশেষ প্রায় শত কোটি টাকার একটি স্বর্ণ চালানের টাকা নিয়ে ঝামেলা তৈরী হয় এমপি আনারের সঙ্গে। যা স্থানীয়দের মুখে মুখে। যদিও কিছুদিন পার হতেই আবার এমপি আনার ও শাহীনকে একসঙ্গে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে ওই টাকার বিরোধেই ভারতে নিয়ে আনারকে খুন করান শাহীন।
সিয়াম কলকাতায় গ্রেপ্তার: কলকাতার নিউটাউনে বাংলাদেশি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এদের মধ্যে সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার একজন বাংলাদেশি নাগরিক। তার নাম সিয়াম। ১৩ মে হত্যাকাণ্ডের দিন তিনি সঞ্জীবা গার্ডেনসের ওই ফ্ল্যাটে ছিলেন বলে জানা গেছে। এমপির মরদেহের খণ্ডিত অংশ গুমের দায়িত্ব ছিল সিয়ামের ওপর। ওই একই ঘটনায় জুবের নামে এক ক্যাবচালককেও আটক করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। টানা জিজ্ঞাসাবাদ চলছে তাকে। এরই মধ্যে তার গাড়িটিও জব্দ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জব্দ করা হয় সাদা রঙের মারুতি গাড়িটিকে। গত ৩০ এপ্রিল অনলাইন রেন্টালের মাধ্যমে গাড়িটি ভাড়া করেছিলেন আততায়ীরা। গত ১২ মে ভারতে আসেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। তিনি ওঠেন বরানগরের পূর্ব পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে। পরদিন ১৩ মে চিকিৎসা করাতে যাবেন বলে গোপালের বাড়ি থেকে বের হন এমপি আনার। ওইদিন রাতেই নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে তাকে খুন করা হয়। এরপর ১৪ মে প্রথম পর্যায়ে এমপির মরদেহের খণ্ডিত অংশ একটি ট্রলিব্যাগে করে ফ্ল্যাট থেকে বের করা হয়। এরপর তোলা হয় ওই সাদা রঙের ক্যাবে। সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার সিয়ামের দায়িত্ব ছিল ওই মরদেহের টুকরাগুলোকে সরিয়ে দেয়া। সঞ্জীবা গার্ডেনসের ওই ফ্ল্যাট থেকে বেশ কিছু প্লাস্টিক ব্যাগ পাওয়া গেছে। পুলিশের ধারণা, এমপি আনারের মরদেহের টুকরাগুলো সরানোর উদ্দেশ্যে ব্যাগগুলো আনা হয়েছিল।
দুই দেশের গোয়েন্দাদের বৈঠক: ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ভারতীয় পুলিশের দুই সদস্য ঢাকায় এসেছেন। ভারতীয় পুলিশের এ প্রতিনিধি দল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদর দপ্তরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। সেখানে দুই দেশের প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যের বিষয়ে আলাপ হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ- মিশনার আব্দুল আহাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, আলোচিত এ ঘটনাটি তদন্তে গোয়েন্দা পুলিশের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিগগিরই কলকাতায় যাবেন। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ ভারতীয় পুলিশের কাছে আটক হওয়া আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।
নয়াশতাব্দী/ডিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ