শেষ হলো ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই সম্পন্ন হয়েছে ভোটগ্রহণ। গতকাল বুধবার ১৫৬ উপজেলায় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। তবে শত চেষ্টা করেও ভোটারদের সাড়া মেলাতে পারেনি। প্রথম ধাপের নির্বাচনের মতোই এবারও ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। এক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছেন প্রার্থীরা। দ্বিতীয় ধাপেও বেশির ভাগ উপজেলায় মূলত আওয়ামী লীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমর্থকদেরই লড়াই হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিহীন উপজেলা ভোটে ফাঁকা মাঠে গোল দিল আওয়ামী লীগ সমর্থক প্রার্থীরা। নির্বাচনে দু-একটি জায়গায় অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া গেলেও কোথাও বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটেনি। তবে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল অনেক কম। সকালের তুলনায় বেলা বাড়ার পর ভোটার উপস্থিতি কিছুটা বাড়ে। তবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভাষায় ভোট শান্তিপূর্ণ হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আজ (মঙ্গলবার) উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সারা দেশে ১৫৬ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার মধ্যে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট হয়েছে ১৩২ উপজেলায় এবং ইভিএম মেশিনে ভোট হয়েছে ২৪ উপজেলায়। কক্সবাজারে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকের ছুরিকাঘাতে মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় স্ট্রোক করে মারা গেছে এক নারী আনসার সদস্য।
নির্বাচনে সহিংসতার তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটার উপস্থিতির হার ৩০ শতাংশের ওপর হতে পারে। সঠিক এবং নির্ভুল তথ্য আগামীকাল পাবেন। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রশাসন খুব তৎপর ছিল। প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য ছিল। এর মধ্যেও কোথাও কোথাও মিডিয়ার কিছু কর্মী আহত হওয়ার খবর আমরা শুনেছি। বিভিন্ন অনিয়মে যখন তারা সাহস করে ছবি তুলতে গিয়েছেন তখন হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। তবে সঠিক তথ্য এখনো পাইনি। বিচ্ছিন্ন হাতাহাতির কারণে ৩৩ জনের মতো আহত হয়েছেন। এর মধ্যে এক থেকে দুজনের অবস্থা গুরুতর হতে পারে।
তিনি বলেন, গতকাল (সোমবার) রাতে একটি ঘটনায় একজনের হাত কেটেছে। সেটা আমি স্বচক্ষে দেখেছি, বেশ গুরুতর আঘাত। তবে আজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুব তৎপর ছিল। যেখানে অনিয়ম বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেখানে তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট আটক করা হয়েছে ২৫ জনকে। অন্যায়ভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার কারণে ১০ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
ভোটকেন্দ্রে একজন সাধারণ ভোটার এবং একজন আনসার সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন উল্লেখ করে সিইসি বলেন, দুজন নিহত হয়েছেন। তবে সেটি ভোটকেন্দ্রের সহিংসতাকে কেন্দ্র করে নয়। আমরা তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
সিইসি আরও বলেন, দ্বিতীয় ধাপের ১৫৬ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তিন পদে এক হাজার ৮২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ভোট কম পড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বড় একটি রাজনৈতিক দল প্রকাশ্যে এবং ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে। তারা জনগণকে ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। যে কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের চেষ্টা থাকতে পারে।
ভোট নিয়ে কোনো সংকট নেই জানিয়ে সিইসি বলেন, সংকট হচ্ছে রাজনীতিতে। আমি মনে করি— রাজনীতি যদি ভালোভাবে প্রবাহিত হয় তাহলে আগামী দিনে ভোটের যে স্বল্পতা সেটি কেটে যাবে। যে কোনো গণতান্ত্রিক দেশে যারা ভোটার তাদের স্বশাসন বুঝতে হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে নিজেরাই নিজেদের পরিচালিত করবে। এটি হচ্ছে সচেতনতা এবং গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।
কক্সবাজারে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থককে ছুরিকাঘাতে হত্যা: কক্সবাজার ঈদগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের বাইরে ছপুর আহমদ (২৭) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বিকাল ৪টার দিকে ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী পশ্চিম মালমোরাপাড়া কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ছপুর আহমদ টেলিফোন প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু তালেবের কর্মী। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঈদগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভরঞ্জন চাকমা।
টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী আবু তালেব বলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী শামসুল আলম সকাল থেকে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করেন। একপর্যায়ে আমার ওপর হামলার চেষ্টা করেন। সর্বশেষ ভোটগ্রহণের শেষ পর্যায়ে আমার এক কর্মী ভোটারদের কাছ থেকে ভোট চাইলে শামসু আলমের স্বজনরা আমার কর্মীর ওপর হামলা করেন এবং ছুরিকাঘাত করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী শামসুল আলম বলেন, তারাই আমার ওপর হামলা করছে। তবে কীভাবে কি হয়েছে সেটি আমি জানি না।
ওসি শুভরঞ্জন চাকমা বলেন, ছুরিকাঘাতে একজন নিহতের খবর শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ যাচ্ছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পোলিং এজেন্টের কারাদণ্ড: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিধি ভঙ্গের অভিযোগে মাহবুব মিয়া (৩৮) নামের এক পোলিং এজেন্টকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে দায়িত্বে অবহেলার অপরাধে মো. আব্দুল আলী নামের এক সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজের পুরুষ ভোটকেন্দ্র থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেলিম এ দণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মাহবুব মিয়া ভাইস চেয়ারম্যানপ্রার্থী সাহাব উদ্দিন বেগ শাপলুর (মাইক প্রতীক) পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ভাইস চেয়ারম্যানপ্রার্থী সাহাব উদ্দিন বেগ শাপলুর পোলিং এজেন্ট মাহবুব মিয়া অবৈধভাবে গোপন কক্ষে গিয়ে অন্যের ব্যালট পেপারে সিল মারার চেষ্টা করে। তখন বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানালে দণ্ডবিধি ১৭১-চ ধারায় মাহবুব মিয়াকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয় এবং সেখানকার সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার মো. আব্দুল আলীকে নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেলিম শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধাগ্রস্তকারীদের ছাড় দেয়া হবে না।
জানা গেছে, এই ধাপে ২৪টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং বাকি উপজেলাগুলোতে কাগজের ব্যালটে ভোট হয়। নির্বাচন উপলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা ও যান চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
দ্বিতীয় ধাপে গত ২ এপ্রিল ১৬১ উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে গতকাল ভোট হয় ১৫৬টিতে। রাউজান ও কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় সেখানে ভোটগ্রহণের প্রয়োজন হয়নি। বান্দরবানের রুমা ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। বরিশালের বাবুগঞ্জ, উজিরপুর ও বানারীপাড়া উপজেলার ভোট এ ধাপে থাকলেও তা পিছিয়ে চতুর্থ ধাপে নেয়া হয়েছে। এ ধাপে ২১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭ জন চেয়ারম্যান এবং সমান সংখ্যক ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে এক হাজার ৮২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৬৯৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫২৮ জন। এ নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ৩ কোটি ৫২ লাখ। ভোটারদের মধ্যে এক কোটি ৭৯ লাখ ৫ হাজার পুরুষ এবং এক কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার নারী ভোটার। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৩ হাজার ১৬টি ও ভোটকক্ষ ৯১ হাজার ৫৮৯টি।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছিল, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৬টি উপজেলায় বিজিবি, র্যাব ও কোস্টগার্ডের বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিগত বছরগুলোর নির্বাচনের চেয়ে এবার ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্য থাকছে। নির্বাচনের এ ধাপে নিরাপত্তার দায়িত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় তিন লাখ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে এক লাখ ৯৩ হাজার আনসার, ৮৯ হাজার ৮৬৩ জন পুলিশ, দুই হাজার ৭৬৮ জন র্যাব ও ৪৫৮ প্লাটুন বিজিবি সদস্য রয়েছেন। স্বাভাবিক এলাকার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের পাহারায় ১৭ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮-১৯ জন সদস্য মোতায়েন থাকবেন।
দলীয় মনোনয়ন ও বিএনপির বর্জন: এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনো দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে মাত্র চারটি দল প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। দলগুলো হলো জাতীয় পার্টি (এরশাদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ এবং জাতীয় পার্টি (জেপি)। এ চারটি দল চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। এদিকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো এ নির্বাচন বয়কট করেছে। তবে বেশকিছু উপজেলায় বিএনপি সমর্থিতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
এবার চার ধাপে উপজেলা নির্বাচন করছে ইসি। গত ৮ মে অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ ভোট পড়ে। এই হার ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ ও গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে কম।
‘৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে’: দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় নির্বাচনে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
সিইসি বলেন, আজ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সারা দেশে ১৫৬ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার মধ্যে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট হয়েছে ১৩২ উপজেলায় এবং ইভিএম মেশিনে ভোট হয়েছে ২৪ উপজেলায়। নির্বাচনে সহিংসতার তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে দু-এক জায়গায় হাতাহাতি হয়েছে। এসব ঘটনায় এক থেকে দুজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। কিন্তু নির্বাচনকে ঘিরে উল্লেখযোগ্য সহিংসতা হয়নি। নির্বাচন মোটামুটি ভালো এবং শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভোটের হার নিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটার উপস্থিতির হার ৩০ শতাংশের ওপর হতে পারে। সঠিক এবং নির্ভুল তথ্য আগামীকাল (আজ) পাবেন। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রশাসন খুব তৎপর ছিল। প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য ছিল। এর মধ্যেও কোথাও কোথাও মিডিয়ার কিছু কর্মী আহত হওয়ার খবর আমরা শুনেছি। বিভিন্ন অনিয়মে যখন তারা সাহস করে ছবি তুলতে গিয়েছেন তখন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। তবে সঠিক তথ্য এখনো পাইনি। বিচ্ছিন্ন হাতাহাতির কারণে ৩৩ জনের মতো আহত হয়েছেন। এর মধ্যে এক থেকে দুজনের অবস্থা গুরুতর হতে পারে।
তিনি বলেন, সোমবার রাতে একটি ঘটনায় একজনের হাত কেটেছে। সেটা আমি স্বচক্ষে দেখেছি, বেশ গুরুতর আঘাত। তবে আজ (গতকাল) আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুব তৎপর ছিল। যেখানে অনিয়ম বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেখানে তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট আটক করা হয়েছে ২৫ জনকে। অন্যায়ভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার কারণে ১০ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/ডিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ