২০২১ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সেটি এখনই প্রত্যাহার করছে না যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলছে, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে মূলত বাহিনীর আচরণ পরিবর্তন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এই কথা জানান।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়, ‘স্টেট ডিপার্টমেন্ট র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে’- বিষয়টি নিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জানানো হয়, ‘খবরটি মিথ্যা’।
দক্ষিণ এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরে এলে তার সঙ্গে নৈশভোজের বৈঠকের পর সালমান এফ রহমান মিডিয়াকে ব্রিফ করেন।
এতে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে হোয়াইট হাউস থেকে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বলা হয়েছে। আমরা র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও বঙ্গবন্ধুর খুনি রশিদ চৌধুরীকে ফেরানোর কথা বলেছি। লু আমাদের জানিয়েছেন, বিষয় দুটি তাদের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টে আছে। তাদের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট স্বাধীন। তারা বলেছে এটি পুশ করছে, সাপোর্ট দিচ্ছে। লু বলেছেন- হোয়াইট হাউস থেকেও জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে বলা হয়েছে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে।’
তবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘এই দাবিগুলো মিথ্যা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে মূলত বাহিনীর আচরণ পরিবর্তন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই।’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করে র্যাবের পাশাপাশি সংস্থার সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
নয়াশতাব্দী/এসকে/ডিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ