খুব সকালেই কালো মেঘে ঢেকে যায় ঢাকার আকাশ, যেন সন্ধ্যের আঁধার নেমে আসে রাজধানীজুড়ে। সকাল ৭টা বাজতেই শুরু হয় মূষলধারে বৃষ্টি, সাথে বজ্রপাত। প্রায় সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত চলে এ বর্ষণ। আর দেড় ঘণ্টার এই বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী।
শনিবার (১১ মে) প্রায় দুই ঘণ্টার বৃষ্টিতে রাজধানীর মিরপুর ১৪, ১০, ১১, ১২ ও ২ নম্বর এলাকার রাস্তায় পানি জমেছে। এছাড়াও কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, কালশী রোডেসহ ধানমন্ডি ২৭ এলাকার সড়কে দেখা গেছে জলাবদ্ধতা।
এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সড়কে মানুষের চলাচল কম থাকলেও যাদের বের হতে হয়েছে, তারা পড়েছেন ভোগান্তিতে।
মিরপুর ১১ এলাকার বাসিন্দা ও বেসরকারি চাকরিজীবী আহমেদ শাহাবুদ্দিন বলেন, মিরপুর সাড়ে ১১ থেকে কালশী পর্যন্ত পুরোটা রাস্তায় পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। এক পর্যায়ে এই রাস্তা দিয়ে অফিসে আসার সময় বাসচালক বিকল্প পথ ব্যবহার করে এই রাস্তাটুকু এড়িয়ে চলেছেন। এতে আমার অফিসে যেতে দেরি হয়েছে; আমি ছাড়াও অফিসগামী মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
সাভার থেকে মিরপুর হয়ে খিলক্ষেত এলাকায় আসা হোসেন নাদিম জানান, বাসা থেকে বের হয়েই দেখি মুষলধারে বৃষ্টি। আশুলিয়ার জিরানীবাজার এলাকার রাস্তায় বেশ পানি উঠেছে। হাটু সমান পানি ওঠায় এতে এ এলাকার আশেপাশের শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বেশ ভোগান্তিতে পড়তে দেখা যায়। খিলক্ষেত আসার পথে মিরপুর এলাকায় আমাকে বেশ কিছুক্ষণ যানজটে থাকতে হয়েছে।
রাজধানীর হাজারীবাগ, জাফরাবাদ এলাকায় সকাল থেকে টানা এক-দেড় ঘণ্টার বৃষ্টিতে বিভিন্ন সড়ক ও গলিতে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কারওয়ান বাজার এলাকার অনেক স্থানে সড়কে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।
আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি, কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
নয়াশতাব্দী/ডিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ