রাজধানীতে অস্থির হয়ে পড়েছে ডিম ও মুরগির বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনপ্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ১৫-৩০ টাকা; প্রকারভেদে মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২০-৫০ টাকা। শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমসূত্র বলছে, বাজারগুলোতে ডিম ও মুরগির দাম বেশি বেড়েছে। কারওয়ান বাজারে বর্তমানে প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ১২০ টাকা ছিল। এ ছাড়া সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা ডজন, যা এক সপ্তাহ আগে ১১৫ টাকা ছিল। অন্যদিকে মিরপুরের বাজারগুলোতে প্রতি ডজন লাল ডিম ১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অর্থাৎ, গত এক সপ্তাহে প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৫-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
কারওয়ান বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ১৯০-২০০ টাকা ছিল। এ ছাড়া প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ৩৮০-৪০০ টাকা, লেয়ার ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে যথাক্রমে ৩৭০-৩৮০ টাকা ও ৩২০-৩৩০ টাকা ছিল।
অন্যদিকে মিরপুরের বাজারগুলোতে বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার ২২০ টাকা, সোনালি ৪২০ টাকা ও লেয়ার ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগি ও ডিমের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে তাপপ্রবাহে মুরগি মারা যাওয়া, ডিম নষ্ট হওয়া ও সরবরাহের ঘাটতিকে দুষছেন বিক্রেতারা।
কারওয়ান বাজারের ডিম বিক্রেতা আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, গরমের কারণে মুরগি মারা যাওয়ায় ডিমের উৎপাদন কম। তাছাড়া অনেক ডিম নষ্টও হয়েছে। এ কারণে বাজারে ডিমের সরবরাহ কম। ফলে দাম বাড়ছে।মিরপুরের ডিম বিক্রেতা কবির বলেন, গতকালও (বুধবার) লাল ডিমের ডজন ছিল ১৪০ টাকা, আজ তা ১৫০ টাকা হয়েছে। আমরা যে দামে কিনে আনি, সে অনুযায়ী বিক্রি করি। দাম বাড়ার পেছনে আমাদের কোনো হাত নেই।
মুরগির দাম বাড়ার কারণ হিসেবে সবুজ মিয়া নামে এক বিক্রেতা বলেন, গরমের কারণে অনেক মুরগি মারা গেছে। এ কারণে বাজারে মুরগির ব্যাপক সংকট রয়েছে। তাই দাম বাড়ছে।
মিরপুরের মুরগি ব্যবসায়ী হারুন বলেন, মে মাস এমনই যাবে। সামনের মাসে কোরবানির ঈদ এলে তখন দাম কমবে।
নয়াশতাব্দী/ডিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ