রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ দোকানপাট খোলা রাখলে ডিপিডিসিকে সঙ্গে নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে ফেলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন- চলমান তাপদাহের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রাত ৮টার পর বন্ধ রাখার যে আহ্বান বিদ্যুৎ বিভাগ রেখেছে, তা সবাইকে মানতে হবে।
রাত ৮টার পর দোকান বন্ধ রাখার এ নিয়ম যে নতুন নয়, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে মেয়র তাপস বলেন- আমরা কয়েক বছর আগেই এ ঘোষণা দিয়েছি। আমরা অভিযান পরিচালনা করবো। এখন থেকে প্রত্যেক অঞ্চলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করবো।
তিনি আরও বলেন- যারা রাত ৮টার পরে দোকানপাট খোলা রাখবে, বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করার চেষ্টা করবে, আমরা ডিপিডিসিকে সঙ্গে নিয়ে তাদের সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করবো; যাতে ৮টার পর আর কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য করতে না পারে।
এপ্রিলের শুরু থেকে চলছে একটানা তাপদাহ। তীব্র গরমের মধ্যে ভোগান্তি বাড়িয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (৩০ এপ্রিল) সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৬ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। ওই সময়ে বিদ্যুৎ বিতরণ হয়েছে ১২ হাজার ৭৫৩ মেগাওয়াট। অর্থাৎ ঘাটতি ছিল তিন হাজার ৪৪৭ মেগাওয়াট। চাহিদা ও সরবরাহের এ ঘাটতির কারণে গত কয়েক দিনে দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং করতে হয়েছে।
এ অবস্থায় গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে ‘অভূতপূর্ব সাফল্য’ অর্জিত হলেও চলমান তাপদাহে বিদ্যুতের চাহিদা অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। তা সত্ত্বেও গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। একইসঙ্গে গ্রাহকদের আরও পরিমিত ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারে আহ্বান জানাচ্ছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে গ্রাহকদের সহযোগিতা চেয়ে ৮ দফা করণীয় তুলে ধরা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এগুলো হলো-
১. রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখুন।
২. নিম্নহারে বিদ্যুৎ বিল সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে দোকান, শপিংমল, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অতিরিক্ত বাতি ব্যবহারে বিরত থাকুন।
৩. সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী হলিডে স্ট্যাগারিং প্রতিপালন করুন।
৪. এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর ওপরে রাখুন।
৫. দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে হুকিং বা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিরত থাকুন।
৬. বেআইনিভাবে ইজিবাইক ও মোটরচালিত রিকশার ব্যাটারি চার্জিং থেকে বিরত থাকুন।
৭. বিদ্যুৎ অপচয় রোধে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করুন।
৮. বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হোন।
এছাড়া বিদ্যুৎ সেবা নিয়ে যেকোনো অভিযোগ বা তথ্যের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের হট লাইন নম্বর ১৬৯৯৯ এ যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ