ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাশকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়, ঝুমন দাশকে এক বছরের জন্য জামিন দেওয়া হলো। এ সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না, এমনকি আদালতের অনুমতি ছাড়া সুনামগঞ্জের বাইরেও যেতে পারবেন না।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
গত ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শানে রিসালাত সম্মেলন নামে একটি সমাবেশের আয়োজন করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এতে হেফাজতের তৎকালীন আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বক্তব্য দেন। ওই সমাবেশের পরদিন ১৬ মার্চ মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন দিরাইয়ের পার্শ্ববর্তী উপজেলা শাল্লার নোয়াগাঁওয়ের যুবক ঝুমন দাশ।
তিনি স্ট্যাটাসে মামুনুলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগ আনেন। তবে এ সমালোচনাকে ইসলামের সমালোচনা বলে এলাকায় অপপ্রচার চালাতে থাকে মামুনুলের অনুসারীরা। এতে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দারা ১৬ মার্চ রাতে ঝুমনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এর পরদিন কয়েক হাজার লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল করে গ্রামের সংখ্যালঘুদের ঘর-বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ঝুমন দাশের বাড়িসহ হাওরপাড়ের হিন্দু গ্রামের প্রায় ৯০টি বাড়ি ও মন্দিরে ভাঙচুর-লুটপাট করে। এরপর গত ২২ মার্চ ঝুমন দাশের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। ওই মামলায় কয়েক দফায় জামিন আবেদন খারিজের পর ঝুমন দাশ হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
এদিকে ঝুমন দাশের জামিন চেয়ে দেশের বিভিন্ন স্থনে পৃথক কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন সংগঠন।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ