মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্সের কথা উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছেন- যতদিন জেলে থাকুক না কেন, মাদক মামলার আসামিদের জামিনের ক্ষেত্রে সহানুভূতি দেখানো হবে না।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, সোমবার প্রায় শতাধিক মাদক মামলায় জামিন আবেদন কার্যতালিকাভুক্ত ছিল।
তখন আদালত বলেছেন, মাদক মামলায় কোনো জামিন কিংবা সহানুভূতি নয়, যতদিন জেলে থাকুক না কেন। দেশ থেকে মাদক নির্মূল করতে হবে। মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে।
এ শতাধিক মামলার মধ্যে অনেকগুলো উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন। আর বাকিগুলো আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিলেট (কার্যতালিকা থেকে বাদ) করেছেন। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ইয়াবা ও হেরোইনের মামলা। আর হেরোইন মামলায় ২৫ গ্রামের ঊর্ধ্বে হলে আইনে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে।
এসব মামলাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মামলায় জামিন আবেদনকারী হচ্ছে- ২০২২ সালের ২৩ জুন টঙ্গীতে ২০৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধারের আসামি রাজশাহীর শোয়েব আক্তার লিমন, মাগুরায় ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর ৩০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধারের আসামি মাহবুবুর রহমান রিগ্যান, ২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জে ৫০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধারের আসামি মেহেদী হাসান মোশাররফ, ২০২৩ সালের ৫ জুলাই গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধারের আসামি মো. জসিম, ঢাকার মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট এলাকা থেকে ৫৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধারের আসামি আমেনা বেগম, ২০২৩ সালের ১৭ মে রাজশাহীতে ৪০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধারের আসামি আব্দুল হান্নান, ২০২২ সালের ২৭ মে বগুড়ায় ১০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধারের আসামি শেরপুরের লোকমান হোসেন আকাশ, ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ ময়মনসিংহে ১০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধারের আসামি মো. খলিল, ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর গাজীপুরে ২০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধারের আসামি টাঙ্গাইলের মামুন মণ্ডল এবং ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর ঢাকায় ১৮৮ গ্রাম হেরোইনের উদ্ধারের আসামি আজাদ।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ