বাকেরগঞ্জের কলসকাঠিতে তানিয়া আক্তার নামে এক বিধবাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন তিন সন্তানের জনক মজিবর গাজী।
তানিয়া আক্তার কলসকাঠি ইউনিয়নের উত্তর নারাঙ্গল গ্রামের মৃত মনির হাওলাদারের স্ত্রী। মজিবর গাজী একই এলাকার সোবহান গাজীর ছেলে।
রোববার (২১ এপ্রিল) রাত ১১টার পরে মজিবর গাজি তানিয়ার বসত ঘরে ডুকলে, মজিবরের স্ত্রী টের পায়। এসময় তিনি তার ছেলেমেয়ে ও বাড়ির লোকজন নিয়ে তানিয়ার বসতঘর ঘেরাও করে। তানিয়া ও মজিবরকে টেনে হেচড়ে বের করে। কিন্তু কৌশলে মজিবর পালিয়ে গেলেও, মজিবরের স্ত্রী ছেলেমেয়ে স্বজনরা তানিয়ার উপর হামলা ও বসতঘর ভাঙচুর করে। ঘর থেকে লুট করে বিষ হাজার টাকা ও কানের বালা নিয়ে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি এলাকায় মুখরোচক গল্প হিসেবে পরিনত হয়। এই বিষয়ে জানতে চাইলে তানিয়া বলেন, আমি একজন বিধবা নারী। মজিবর গাজী আমাকে বিয়ের আশ্বাসে দীর্ঘদিন আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে গেছেন। এর ফলে আমি সাত-আট মাস আগে গর্ভবতী হয়ে পড়ি। তিনি আমাকে জোর করে দুমকির একটি ক্লিনিকে গিয়ে গর্ভপাত করান। তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি বরিশালের একটি হোটেলে নিয়ে একরাতে রেখে চলে আসেন। এভাবে নয়-ছয় করে মজিবর গাজী আমার জীবনটাকে নষ্ট করে দিয়েছেন। আমি এখন তাকে বিয়ে করতে চাই।
মামলার প্রসঙ্গে তানিয়া বলেন, আমি মার খেয়ে ক্লান্ত। আমি থানায় মামলা করব। রোববার কলসকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়সল ওয়াহিদ মুন্না তালুকদার দুই পক্ষকে ডেকে জোর করে সালিশ বৈঠকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আসামিদের আপিলে ৫০০০ টাকা কমিয়ে তানিয়ার হাতে ৫৫ হাজার টাকা তুলে দেন।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকতা বাকেরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেদোয়ান বলেন, তানিয়া আক্তার বাকেরগঞ্জ থানায় এসে একটি অভিযোগ পত্র দিয়েছে। ওসি সারের নির্দেশে সেটা তদন্ত চলমান রয়েছে। মজিবর গাজী পলাতক রয়েছে। থানার তদন্ত চলমান, সেখানে চেয়ারম্যান কিভাবে বিচার করলেন; এটা আমার বোধগম্য নয়।
নাম প্রকাশ না করে অনেকেই অভিযোগ করে বলেছেন, এই সালিশের পেছনে বড় বাণিজ্য হয়েছে। অন্তত ৫ লাখ টাকার বাণিজ্যে ভুক্তভোগী তানিয়া পেল মাত্র ৫৫ হাজার টাকা।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ