সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশি ২৩ নাবিক নিয়ে। জাহাজটি বর্তমানে ফুজাইরা উপকূল অতিক্রম করছে। যে গতিতে চলছে, তাতে জাহাজটি হরমুজ প্রণালি হয়ে রোববার (২১ এপ্রিল) আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছানোর কথা।
এমভি আবদুল্লাহর মাস্টার ক্যাপ্টেন মো. আবদুর রশিদের বরাত দিয়ে শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রোববার বিকেল চারটা নাগাদ জাহাজটি আল–হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে পরদিন সোমবার কয়লা খালাসের জন্য জাহাজটিকে জেটিতে ভেড়ানো হবে।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জাহাজটি আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছানোর পর দুজন নাবিক বিমানে করে দেশে ফেরবেন। আর বাকি ২১ জন নাবিক ওই জাহাজে করেই দেশে ফিরবেন।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায়। ৩১ দিনের জিম্মি জীবন পার করার পর ১৩ এপ্রিল ছাড়া পান ওই ২৩ নাবিক।
মুক্ত হওয়ার পর পরই ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। কড়া নিরাপত্তা দিয়ে জাহাজটিকে ঝুকিপূর্ণ জলসীমা পার করে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধজাহাজ ও তিনটি টহল জাহাজ।
নয়া শতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ