বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর দ্বারা বাংলাদেমি নাগরিকদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণঅধিকার পরিষদ। মিছিলটি কালভার্ট রোড জামান টাওয়ার থেকে শুরু হয়ে নয়াপল্টন হয়ে পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির টেংকিতে এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু এটা যারা বলে তাদের মানসিক সমস্যা রয়েছে। ভারত একমাত্র আওয়ামী লীগের বন্ধু, বাংলাদেশ কিংবা বাংলাদেশের জনগণের বন্ধু নয়। আমাদের বিজিবিকে বলবো, আপনারা এভাবে হাতে চুরি পড়ে বসে থাকতে পারেননা। আমাদের একজন ভাইকে হত্যা করলে আপনারা দুইজন ভারতীয়কে মারবেন; না পারলে চাকরি ছেড়ে দিন, কথা পরিষ্কার।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেন, গত রমজান মাসে ভারত পাঁচ পাঁচটি মরদেহ আমাদের উপহার দিয়েছে। পৃথিবীর কোনো সীমান্তে এভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হয়না, সেটা ভারত আমাদের সীমান্তে করে যাচ্ছে। আর বাংলাদেশ নতজানু সরকার নূন্যতম কোনো প্রতিবাদ পর্যন্ত করছেন না। ভারত কোনোদিন বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে মেনে নিতে পারেনি, তারা এই বাংলাদেশকে মনে করে তাদের একটি অঙ্গরাজ্য। আমাদের লড়াইটা এখানেই।
গণঅধিকার পরিষদের মিছিলে এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ভারত আমাদের চিরশত্রু এটা বুঝতে পারাও দেশ প্রেমের অংশ।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, গণঅধিকার পরিষদের যে ডাক দিয়েছে ভারত খেদাও দেশ বাঁচাও আন্দোলনের, এই আন্দোলন বাংলাদেশের জনগণের একমাত্র মুক্তির আন্দোলন।
১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা এহসানুল হুদা বলেন, ভারতীয় পণ্য বয়কটের আন্দোলন চলছে চলবে।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান বলেন, ভারত আমাদের সাথে যা করছে পৃথিবীর কোনো শত্রু দেশও তা করে না। ভারত বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র কখনোই ছিলো না আর হবেও না।
গণনেতা আতাউল্লাহর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ইঞ্জিনিয়ার এস ফাহিম, অধ্যাপক মাহবুব, তারেক রহমান, জিয়াউর রহমান, আরিফ বিল্লাহ, আব্দুল্লাহ, ছাত্রনেতা মোল্লা রহমতুল্লাহ প্রমূখ।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ