ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মুক্তিপণের অর্থ পাওয়ার পর ছেড়ে দিয়েছে জলদস্যুরা।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাত ১২ টা'র দিকে মুক্তিপণের বিনিময়ে দস্যুরা জাহাজ থেকে নেমে যাওয়ার পর ২৩ ক্রুসহ জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিকে রওনা হয়েছে।
এমভি আবদুল্লাহ'র মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম রোববার (১৪ এপ্রিল) প্রাথমিকভাবে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তবে জাহাজ ও ক্রুদের মুক্তি নিশ্চিত করতে কত টাকা দিতে হয়েছে, তা জানা যায়নি। যদিও এ বিষয়ে রোববার দুপুরে চট্টগ্রামে কেএসআরএম গ্রুপের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের কথা রয়েছে।
যেভাবে মুক্তি পেলো
জলদস্যুদের কবলে পড়ার পর আলোচনার মাধ্যমে জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করার চেষ্টার কথা জানিয়েছিলো জাহাজটির মালিক কর্তৃপক্ষ। পরে বিভিন্ন সময় আলোচনায় অগ্রগতির কথাও জানানো হয়েছিলো।
শেষ পর্যন্ত আলোচনায় মুক্তিপণের পরিমাণ চূড়ান্ত হওয়ার পর শনিবার রাতে মুক্তি পেলো জাহাজ ও এর ক্রুরা।
মিজানুল ইসলাম বলেছেন, দস্যুরা জাহাজ থেকে নেমে যাওয়ার আগে সোমালিয়া উপকূলে ডলার পাঠানো হয়।
তিনি জানান, মুক্তিপণের অর্থ পাওয়ার পর তারা আরও কিছুক্ষণ ছিলো জাহাজে। শনিবার রাত ১২টার দিকে জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। ৫/৬ দিন পর এটি দুবাইয়ের বন্দরে পৌঁছাবে। সেখান থেকে নাবিকরা কিভাবে আসবে সেটা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
জানা গেছে মালিক পক্ষের সাথে আলোচনার পর মুক্তিপণের জন্য নির্ধারিত ডলার ভর্তি ব্যাগ ছোট উড়োজাহাজ থেকে দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটির আশেপাশে স্পিডবোটে অপেক্ষারত দস্যুদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয়।
যদিও মিজানুল ইসলাম জানান, দস্যুদের মুক্তিপণের অর্থ দেওয়া হয়েছে হেলিকপ্টার থেকে।
ডলার ভর্তি ব্যাগ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর জাহাজে অবস্থানরত দস্যুরা জাহাজ ছেড়ে চলে যায়। এরপর জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
সূত্র: বিবিসি
নয়াশতাব্দী/ডিএমন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ