চলতি বছরের মার্চ মাসে সারাদেশে মোট ২৪৫ জন নারী ও কন্যা শিশু ধর্ষণ, গণধর্ষণ, হত্যাসহ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১২৪ জন নারী ও ১২১ জন কন্যা শিশু রয়েছেন।
সোমবার (১ এপ্রিল) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদ প্রকাশিত এক তালিকায় এ তথ্য পাওয়া যায়। তালিকায় সই করেন সংস্থাটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। ১৬টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই তালিকা করে সংগঠনটি।
গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে মোট ২৪৫ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৮ জন কন্যা শিশুসহ ৩৭ জন। যার মধ্যে ১২ কন্যা শিশুসহ ১৫ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয়েছে ৭ জন। এর মধ্যে ৪ জন কন্যা শিশু ও ৩ জন নারী রয়েছেন। আর ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২ জনকে।
নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, উল্লিখিত সময়ে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ১০ কন্যা শিশু ও ২ জন নারী। পাশাপাশি উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন ৯ কন্যা শিশুসহ ১০ জন। পাচারের শিকার হয়েছেন ৪ জন নারী ও কন্যা শিশু। এ সময় অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন দুইজন নারী। যাদের মধ্যে একজন মৃত্যুবরণ করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মার্চে যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিন নারী। আর যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে একজন কন্যা ও দুইজম নারীকে। ২১ জন বিভিন্ন ধরনের শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে ৪ কন্যা শিশু রয়েছে। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৫ জন নারী। এ সময়ে এক শিশু গৃহকর্মী নির্যাতিত হয়েছেন এবং একজন কন্যা হত্যার শিকার হয়েছেন।
মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে বিভিন্ন কারণে ৩ জন কন্যা শিশুসহ ৩৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। আটজন কন্যা শিশুসহ ২১ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আর সাতজন কন্যা শিশুসহ ১৭ জন আত্মহত্যা করেছেন। যারমধ্যে তিমজন নারী ও কন্যা আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছেন। ১২ জন কন্যা শিশুকে অপহরণ করা হয়েছে। এছাড়া তিনজনকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, শুধু মার্চ মাসে ফতোয়ার মুখোমুখি হয়েছেন একজন নারী। বাল্যবিবাহের চেষ্টা হয়েছে তিনটি। পুলিশী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দুইজম নারী ও ককন্যাশিশু। এছাড়াও ২৪ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে ১৫ জন নারী ও নয়জন কন্যা শিশু।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ