ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পরও গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলা বন্ধ হচ্ছে না। বরং গণহত্যা চলছেই। খবর সিএনএন ও রয়টার্সের।
প্রায় ছয় মাস ধরে ইসরায়েলের চালানো হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। বর্বর এই হামলার বিপক্ষে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ। কিন্তু কোনো কিছুতেই কর্ণপাত করছেনা ইসরায়েল।
জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে জাতিসংঘের স্পেশাল পোর্টিউর ফ্রাসেস্কা আলবানিজ বলেছেন, ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় ইসরাইলের সেনাবাহিনী যে অভিযান চালাচ্ছে, তা গণহত্যা। এ জন্য তিনি বিভিন্ন দেশের প্রতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।
আহ্বান জানিয়েছেন ইসরাইলকে কেউ যেন অস্ত্র সরবরাহ না দেয়। মানবাধিকার পরিষদের ওই অধিবেশনে যোগ দেয়নি ইসরায়েল। তবে তারা তার এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আলবানিজ বলেন, আমার দায়িত্ব হলো মানবতার পক্ষে কথা বলা। সবচেয়ে খারাপ বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়া। ফলাফল উপস্থাপন করা। জেনেভায় তিনি ‘দ্য অ্যানাটমি অব এ জেনোসাইড’ শীর্ষক প্রতিবেদন দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানো হচ্ছে– এটা বিশ্বাস করার যৌক্তিক কারণ আছে।
গাজায় খাদ্যাভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। দেখা দিয়েছে দুর্ভিক্ষ। মানুষ খাবারের অভাবে গাছের পাতা খাচ্ছে। এদিকে বিমান থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে সাগরে ফেলা ত্রাণ আনতে গিয়ে অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি পানিতে ডুবে গেছেন। সোমবার বেঈত লাহিয়া উপকূলে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
নয়াশতাব্দী/ডিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ