কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বাংলাদেশের নাগরিক! শুধু তাই নয়, তার জন্ম পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলায়। বাস্তবে ট্রুডোর জন্ম বাংলাদেশে না হলেও একটি জন্মসনদসূত্রে পাওয়া গেছে এমন তথ্য। ফলে এটি ঘিরে বহু চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি বিষয়টি কানাকানি হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে গণমাধ্যম; এতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বেরিয়ে আসে বহু জাল-জালিয়াতির অভিযোগ। তবে এ নিয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন; পাশাপাশি বাতিল করা হয়েছে ওই জন্মসনদ।
গণমাধ্যমে উঠে আসে, কাগজে-কলমে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়নের নাগরিক হিসেবে দেখানো হয়েছে। ইউপির দেওয়া ওই জন্মনিবন্ধন সনদে জাস্টিন ট্রুডোর পরিচয় দেওয়া হয়েছে। যেখানে তার পিতা পিয়েরে ট্রুডো ও মাতা মার্গারেট ট্রুডো'র নামও উল্লেখ ছিল। অনুসন্ধানে, একই ইউনিয়ন থেকে আরও কিছু অবৈধ জন্মসনদ বেরিয়ে আসে। টাকার বিনিময়ে এসব অবৈধ জন্মসনদ করে দিতেন ওই ইউনিয়নের কম্পিউটার অপারেটর নিলয় পারভেজ ইমন।
যেখানে বৈধভাবে জন্মসনদ করতে নানা ঝই-ঝামেলার মাঝে পড়েন সাধারণ মানুষ, সেখানে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর নামেও রীতিমত জন্মসনদ বেরিয়ে আসার ঘটনাকে দেশের নিবন্ধন সার্ভারের সুরক্ষা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে প্রশ্ন।
এ বিষয়ে আহম্মদপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার কাছে এটি লজ্জার বিষয়। কারণ, যিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন, তার নিবন্ধন হয়েছে আমার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে।’
ইউপি সচিব আওলাদ হাসান বলেন, ‘আমি এসব ঘটনায় কিছুই জানি না। সার্ভারের ইউজার ন্যাম ও পাসওয়ার্ড আমার কাছে থাকলেও নিলয় হয়তো কোনও সময়ে জেনে গেছে। আমার অগোচরে সে ওটিপি কোড নিয়ে এসব করেছে। এই ঘটনায় আমি দায়ী নই।’
এ বিষয়ে কম্পিউটার অপারেটর নিলয় হোসেনকে পরিষদে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
ওই জন্মসনদ বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেজিস্ট্রার জেনারেল যাহিদ হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, এ ঘটনার তদন্ত করবেন পাবনার জেলা প্রশাসক।
ডেপুটি রেজিস্ট্রার জেনারেল মির্জা তারিক হিকমত বলেন, আমরা এখন বুঝতে পারলাম। যেহেতু আমরা সার্ভার নিয়ে কাজ করি, সুতরাং কে কয়টায় কাজ করেছে, তা ধরা পড়েছে আমাদের কাছে। এখন আমরা অ্যাকশন নেব।
নয়াশতাব্দী/ডিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ