ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১, ৮ রজব ১৪৪৬

যেসব কারণে জলদস্যুদের কবলে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশনার সময়: ১৫ মার্চ ২০২৪, ১১:১৯ | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৪, ১২:২৭

চার কারণে বাংলাদেশি জাহাজ 'এমভি আবদুল্লাহ' ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। এমনটি মনে করেন, মেরিটাইম বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, দস্যুতারোধে চিহ্নিত এলাকায় আন্তর্জাতিক বাহিনীর টহল ছিল না। কম গতিতে চলছিল জাহাজটি, ড্রাফট ছিল বেশি। ঘাটতি ছিল কাঠামোগত নিরাপত্তা ব্যবস্থায়ও।

ছিনতাইয়ের শিকার বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এখন সোমালীয় উপকূলে জলদস্যুদের জিম্মায়। যেখানে শ্বাসরুদ্ধকর সময় কাটছে ২৩ নাবিকের। অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাইরে কেন এই জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়লো, এখন তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। কারও কারও মতে, পরিকল্পিতভাবেই ছিনতাই করা হয়েছে জাহাজটিকে।

মেরিটাইম বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, জলদস্যুরা নরমালি তা ট্র্যাকিং করে। যারা এগুলোর সাথে জড়িত তারা জাহাজের রুট সম্পর্কে জানে এবং জাহাজকে মনিটর করে সংঘবদ্ধভাবে আক্রমন করে।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী বলেন, সচরাচর কম ড্রাফট আর দ্রুতগতির জাহাজ আক্রমণ করে না দস্যুরা। কিন্তু, এমভি আবদুল্লাহ ছিল বেশি ড্রাফট আর কম গতির জাহাজ। সেইসাথে ছিল না বাড়তি নিরাপত্তা। ফলে জাহাজটিতে সহজেই উঠে পড়ে জলদস্যুরা।

মেরিটাইম বিশেষজ্ঞরা বলেন, জলদস্যুদের ঠেকাতে এক সময় আন্তর্জাতিক বাহিনীগুলো বেশ সক্রিয় ছিল ভারত মহাসাগরে। কিন্তু, লোহিত সাগরে হুতি বিদ্রোহীদের তৎপরতার কারণে এখন সবার মনোযোগ সেদিকে। ফলে, টহল শিথিল হয়ে পড়ায় ভারত মহাসাগরে আবার বেপরোয়া সোমালীয় দস্যুরা।

গেল তিনমাসে ১৪টি জাহাজ ছিনতাই করে দস্যুরা। যা ছয়বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে আন্তর্জাতিকভাবে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার বলে মনে করেন নৌবাণিজ্য দপ্তরের নৌবাণিজ্য দপ্তরের কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ।

তবে, কেন জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়লো, তার পর্যালোচনার চেয়ে এখন জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করার দিকেই মূল মনোযোগ বলে জানিয়েছে মালিকপক্ষ।

নয়া শতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ