ঢাকা, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ১ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিকেল হলেই তীব্র যানজট, ভোগান্তিতে নগরবাসী

প্রকাশনার সময়: ১৪ মার্চ ২০২৪, ১৮:১৫ | আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৪, ১৮:২১

রাজধানীর সড়কে যানজট যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। রোজকার জীবনে যদিও নগরবাসীদের অনেকে এখন বিষয়টি গায়ে সয়ে নিয়েছে। কিন্তু এরপরও তীব্র যানজটের ঘটনায় ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসীরা। বিশেষ করে সপ্তাহের শেষ দিনগুলোতে, বা সরকারি ছুটির আগের দিন কিংবা বৃষ্টির দিনেও নগরজুড়ে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ যানজট। এদিকে রোজার মাসে অন্য সাধারণ দিনের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়ে যায় যানজট।

এ বছর রোজার আগের দিন থেকেই রাজধানীজুড়ে ভয়াবহ যানজট দেখেছে নগরবাসী। সকালের দিকটা তুলনামূলক যানজট তুলনামূলক কম থাকলেও বিকেলের শুরুর দিকে এর তীব্রতা বেড়ে যায় ব্যাপকহারে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) তৃতীয় রোজার দিনের বিকেল থেকেই রাজধানীর বেশিরভাগ সড়কেই যানবাহনের ব্যাপক চাপ বাড়তে থাকে। ফলে এসব সড়কে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হতে দেখা যায়। এর আগে এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীতে বৃষ্টিপাত হয়। ফলে রাস্তায় গাড়ি আটকে থাকায় ও রাস্তায় পানি জমায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন কেউ কেউ।

রাজধানীর তেজগাঁও নাবিস্কো এলাকার সড়কে দেখা যায়, দুপুরের বৃষ্টিপাতের সময় চলাচলরত গাড়িগুলোর গতি ধীর হতে থাকে। বৃষ্টি শেষ হতেই যানবাহনগুলোর ধীরগতি থেকে প্রচণ্ড যানজটে রুপ নিতে দেখা যায়। এছাড়াও মগবাজার মোড় থেকে সাতরাস্তা, তিব্বত, নাবিস্কো, মহাখালী, সৈনিক ক্লাব, বনানী এমনকি কাকলী পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এতে গাড়িগুলো হাঁটার গতিতে কিছুটা এগিয়ে টানা ১০-১৫ মিনিটের জন্য দাঁড়িয়ে থাকছে।

এ সড়কগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যালগুলোতে যানবাহনের চাপ সামলাতে ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যদের হিমশিম খেতে দেখা গেছে। এর মধ্যে অনেক গাড়ি চালকদের সাথে ট্রাফিক পুলিশের বাকবিতণ্ডা করতেও দেখা গেছে।

শুধু সাতরাস্তা, মহাখালী, বনানী সড়ক নয়; রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল সড়কেও এদিন তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রামপুরা ডিআইটি রোড থেকে নদ্দা পর্যন্ত এদিন বিকেলের পর পরই যানজটের তীব্রতা বাড়তে থাকে।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসের বিকেলে মোটরসাইকেল নিয়ে বেলা তিনটার দিকে নিকুঞ্জ ১ এর পথে রওনা দেন বেসরকারী কোম্পানির চাকুরিজীবী আবদুল্লাহ কাফি। রামপুরা থেকে নিকুঞ্জ পর্যন্ত আসতে তার প্রায় দেড় ঘণ্টা লেগেছে বলে অভিযোগ তার। কাফি জানান, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে যানজটের তীব্রতা অনেক বেশি ছিল। যেখানে মোটরসাইকেল নিয়ে ২০ মিনিটে চলে আসার কথা, সেখানে এই পথটুকু আসতে আজকে দেড় ঘণ্টা লেগেছে। যারা বাসে বা প্রাইভেট কারে রয়েছেন, তারা হয়ত আরও ভোগান্তিতে রয়েছেন।

এ বিষয়ে তেজগাঁও ট্রাফিক জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি মোস্তাক আহমেদ বলেন, অফিস ছুটির পর সবাই ইফতার করতে একসঙ্গে বাড়ির পথ ধরে। তার উপর আজকে বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবস। যার ফলে সড়কে যানবাহনের ব্যাপক চাপ রয়েছে৷ কারণ রাস্তার ধারণক্ষমতার তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। তারপরও কোথাও গাড়ি দাঁড়িয়ে নেই। আমাদের পর্যাপ্ত জনবল আছে। পাশাপাশি রমজান ঘিরে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবাই যেন ইফতারের আগে বাসায় পৌঁছাতে পারে আমরা সেই চেষ্টা করছি।

নয়াশতাব্দী/ডিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ