বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল রিমান্ডে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
রিমান্ডের প্রথম দিন গতকাল শনিবার সকাল থেকে তাদেরকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বিশেষ করে গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া বিপুল পরিমাণ টাকা কোথায়, কী অবস্থায় আছে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। রাসেল ও তার স্ত্রীকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে মিলেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই ওয়াহেদুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাতে রাসেল ও শামীমাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রাসেল মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে অসুস্থ হয়ে যান। এ কারণে ওই রাতে আর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তবে, শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ওই দুজনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মূলত আমরা দুটি বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। একটি হলো—যে গ্রাহক প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি করেছেন, সে বিষয়ে। পাশাপাশি, গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া বিপুল পরিমাণ টাকা কোথায়, কী অবস্থায় আছে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে রিমান্ডের প্রথম দিনে তারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তারা মুখ খুলতেও শুরু করেছেন। তাদের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। রিমান্ডে তাদের দেওয়া তথ্য আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
ইভ্যালির পুরো নিয়ন্ত্রণে ছিলেন সিইও রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা। এ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ে আছেন তাদের নিকট স্বজনরা। তারাই এসব বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারবেন বলে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
এক গ্রাহকের করা মামলায় গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেফতার করে র্যাব। ওই মামলায় তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চায় গুলশান থানা পুলিশ। আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ