মিয়ানমারে সংঘাতের বলি হচ্ছে এপারের মানুষ। ইতোমধ্যে প্রাণ গেছে দুজনের। গুলিবিদ্ধসহ আহত অন্তত ১২ জন। তাদের কেউ কেউ স্প্লিন্টারবিদ্ধ। স্থানীয়দের অভিযোগ, তাদের পাশে দাঁড়ায়নি কেউ। কোনো সহায়তা না পেয়ে করাতে পারছেন না সঠিক চিকিৎসা। এতে যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছে এসব মানুষ।
গত সোমবার মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া মর্টার শেলের আঘাতে মারা যান শফিউল আলমের মা আসমা খাতুনসহ দুজন। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান শফিউলের দুই শিশু সন্তান। তবে দুই শিশুর পায়েই লেগেছে স্প্লিন্টার।
একদিকে মায়ের মৃত্যুর শোক, অন্যদিকে আহত সন্তানের শরীরের স্প্লিন্টার বের করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় বান্দরবানের ঘুমধুম এলাকার জলপাইতলী সীমান্তের বাসিন্দা শফিউল। শফিউল আলম বলেন, ‘আমার মেয়ের গায়ে এখনও তিনটা স্প্লিন্টার আছে। আমার মনে হয় না আমার মেয়ে আগের মতো হবে কিনা।’
নিহত আসমা খাতুনের স্বামী বাদশা মিয়া বলেন, ‘আমার কাছে কোনো টাকা-পয়সা নাই। কীভাবে কক্সবাজার নিয়ে আমার স্ত্রীকে পোস্টমর্টেম করবো।’ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানায়, ইতিমধ্যে পোস্টমর্টেম করতে গিয়ে এবং যানবাহনের যে খরচ সেটা অনেক টাকা ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। সরকারের উচিত তাদের চিকিৎসা বহন করা।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, ‘সরকারিভাবে কোনো সাহায্য এখন পর্যন্ত পাই নাই। আমি এই এলাকার চেয়ারম্যান হিসেবে আমার একটা নৈতিক দায়িত্ব আছে। আমি আমার অবস্থান থেকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।’
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের বলি হচ্ছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার মানুষ। তাই সংকট কাটাতে নিরাপত্তার পাশাপাশি সরকারের সহায়তা চান তারা।
নয়া শতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ