ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ৬ রজব ১৪৪৬

জাতিসংঘকে ‘তোয়াক্কা না করে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য’, যে বার্তা দিলেন ডুজারিক

প্রকাশনার সময়: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৫

মানবাধিকার, ভোটদান এবং মৌলিক অধিকারের চরম লঙ্ঘনের জন্য সদস্য রাষ্ট্রকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, বিশ্ব সংস্থাটির সেই ব্যবস্থা রয়েছে।

‘বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী (ড. হাছান মাহমুদ) জাতিসংঘের মৌলিক অধিকারকে সম্মান করার আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন’- এক সাংবাদিক এমন প্রসঙ্গ তুললে সরাসরি উত্তর এড়িয়ে গিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র মানবাধিকার কাউন্সিলের দায়িত্বের কথা সামনে আনেন। এর আগে বাংলাদেশি মন্ত্রী বলেছেন, ‘জাতিসংঘের পক্ষ থেকে কে কী বলছে, আমরা তা পরোয়া করি না।’

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) জাতিসংঘের সদর দপ্তরে নিয়মিত ব্রিফিং চলাকালে এসব কথা বলেন স্টিফেন ডুজারিক। এ সময় তাকে প্রশ্ন করেন মুশফিকুল ফজল আনসারী। তার প্রথম প্রশ্নটি অর্ধেক শোনা না যাওয়ায় ডুজারিক তাকে ফের পুরো প্রশ্ন করার আহ্বান জানান।

সাংবাদিক বলেন, ঠিক আছে। এখন আপনি কি আমাকে শুনতে পাচ্ছেন?

ডুজারিক: হ্যাঁ। ধন্যবাদ।

সাংবাদিক: বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের মৌলিক অধিকারকে সম্মান করার আহ্বান নাকচ করে দিয়েছে। বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে কে কী বলছে, আমরা তা পরোয়া করি না। আমার প্রশ্ন— শুধু উদ্বেগ প্রকাশ ছাড়া, মানবাধিকার, ভোটদান এবং মৌলিক অধিকারের চরম লঙ্ঘনের জন্য সদস্য রাষ্ট্রকে জবাবদিহিতার আওতার আনার কোনো ব্যবস্থা কী জাতিসংঘের রয়েছে? ডুজারিক: ভালো বলেছেন, (এমনটি) আছে... আমি বলব যে কোনো সদস্য রাষ্ট্রের জন্য সম্ভবত সবচেয়ে কার্যকর ব্যবস্থা হলো মানবাধিকার কাউন্সিলের মাধ্যমে সর্বজনীন পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনা করা।

এর দুই দিন আগে সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিবের এই মুখপাত্র বলেন, নীতিগতভাবে জাতিসংঘ বিশ্বাস করে যে, রাজনৈতিক মতপ্রকাশের জন্য কাউকে জেলে নেওয়া উচিত নয়। স্থানীয় সময় সোমবার জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ, বিনা অপরাধে বা অভিযোগে আটক বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে অবিলম্বে ও নিঃশর্ত মুক্তির জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের আহ্বানের সঙ্গে একই ধরনের আহ্বান জানাবেন কিনা?

জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘নীতিগত জায়গা থেকে আমরা বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক মতপ্রকাশের জন্য কাউকে জেলে নেওয়া উচিত নয় এবং যাদের নেওয়া হয়েছে, তাদের মুক্তি দেওয়া উচিত। বিশেষ করে কারও বিরুদ্ধে যদি কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকে।’

নয়া শতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ