শহরাঞ্চলে প্রতি পাঁচজনে একজন দরিদ্র, যাদের অনেকেই সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বাইরে রয়েছেন বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ‘বাংলাদেশ সোশ্যাল প্রোটেকশন পাবলিক এক্সপেনডিচার রিভিউ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে শহরের দরিদ্ররা উপেক্ষিত থাকছে। দেশের প্রতি আট দরিদ্র মানুষের একজন শিশু। শহরাঞ্চলে প্রতি পাঁচজনে একজন দরিদ্র মানুষ রয়েছে, এদের ৫৭ শতাংশই সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা পায় না। সরকারের দৃষ্টি গ্রামের দরিদ্রদের দিকেই বেশি। গ্রামে দরিদ্র মানুষের বাইরেও অনেকে এ কর্মসূচির সুফল ভোগ করছে।
বাংলাদেশের চলমান সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি ও প্রকল্পে বিনিয়োগ এবং সেগুলোকে কীভাবে আরও গতিশীল করা যায় সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে প্রতিবেদনে। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলোতে আরো জোর দিলে বাংলাদেশের দারিদ্র্য উল্লেখযোগ্য হারে দূর করতে পারে বলে এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শহরে ১৯ শতাংশ দরিদ্র জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ১১ শতাংশ মানুষ সামাজিক সুরক্ষার আওতায় রয়েছে। গ্রামীণ অঞ্চলে ২৬ শতাংশ দারিদ্র্যের মধ্যে ৩৬ শতাংশ মানুষ এ কর্মসূচির আওতায় এসেছে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের অপারেশন ম্যানেজার ডানডান চেন বলেন, কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতা বাড়িয়েছে। বর্তমানে দেশের প্রতি ১০টি পরিবারের মধ্যে তিনটি পরিবার সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় এসেছে। মহামারি আরও শক্তিশালী, দক্ষ এবং অভিযোজিত সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তাকে জোরালো করেছে।
২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ জিডিপির প্রায় ২ দশমিক ৬ শতাংশ সামাজিক সুরক্ষায় ব্যয় করেছে, যা একই ধরনের আয়ের স্তরের দেশগুলোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ