ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ৬ রজব ১৪৪৬

ভোটের হার নিয়ে জানতে চায় ইইউর বিশেষজ্ঞ দল

প্রকাশনার সময়: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:১৬ | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৩১

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের হার নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিশেষজ্ঞ দল। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) পক্ষ থেকেও একই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি ইইউর বিশেষজ্ঞ দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে। আইআরআই ও এনডিআইয়ের প্রতিনিধিরাও ইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন। সেখানে ভোটের হার নিয়ে জানতে চাওয়া হয় বলে ইসি সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে।ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ইইউর ‘টেকনিক্যাল’ দল এবং আইআরআই ও এনডিআইয়ের প্রতিনিধিরা গতকাল বৈঠক করেছেন। তাঁরা মূলত নির্বাচনের বিভিন্ন তথ্য–উপাত্ত জানতে চেয়েছিলেন। তাঁদের সব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে তাঁরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোট গ্রহণের পরদিন ইসি জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪১ দশমিক ৮০ শতাংশ। তবে ভোটের এই হার নিয়ে সন্দেহ ও প্রশ্ন আছে। ভোটের দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সারা দেশে দুপুর ১২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত গড়ে সাড়ে ১৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দ্বিতীয় দফা ব্রিফিংয়ে সচিব জানান, বেলা ৩টা পর্যন্ত ২৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে এই হিসাবে কিছুটা হেরফের হতে পারে। কারণ, সব জায়গার তথ্য পাওয়া যায়নি।

ভোট গ্রহণ শেষে বিকেল পাঁচটার পর সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথমে বলেন, ২৮ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। পাশ থেকে তাঁকে একজন বলেন, এই হার ৪০ শতাংশ। তখন সিইসি বলেন, ‘৪০ পার্সেন্ট। তারপরও এটা ড্যাশবোর্ডে শতভাগ তথ্য আসেনি।’ সিইসি বলেন, ৪০ শতাংশ যেটা এসেছে, এখন পর্যন্ত এটা নির্ভরযোগ্য। তবে এটা নিশ্চিত নয়, এটার কিছুটা ব্যত্যয় হতে পারে।

ইসি সূত্র জানায়, ইইউর বিশেষজ্ঞ দল এবং এনডিআই, আইআরআই মূলত ভোটের হার নিয়ে এই বিভ্রান্তির বিষয়টি জানতে চেয়েছে। তাদের ইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, সব ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর ভোট পড়ার হার জানাতে। ইসির বিশেষ সফটওয়্যারে এ–সংক্রান্ত তথ্য দিতে বলা হয়েছিল।

কিন্তু সব কর্মকর্তা এই কাজ যথাযথভাবে করতে পারেননি। তিন পার্বত্য জেলার সংসদীয় আসন এবং এর বাইরে আরও কিছু আসনের বেশ কিছু ভোটকেন্দ্রের ভোট পড়ার হার কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে দিতে পারেননি বা দেননি। এ–সংক্রান্ত তথ্য–উপাত্ত ইইউ, এনডিআই, আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদের দেখানো হয়েছে।

নয়াশতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ