ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইভ্যালির রাসেল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

প্রকাশনার সময়: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০১:৪৭ | আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০২:২২
সংগৃহীত ছবি

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অভিযোগ করেছেন আরিফ বাকের নামে এক ভুক্তভোগী।

বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ভুক্তভোগী সশরীরে গুলশান থানায় উপস্থিত হয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন জমা দেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করে অভিযোগকারী আরিফ বাকের বলেন, থানায় একটি অভিযোগ জমা দিয়েছি। তবে থানা এখনও তা অফিসিয়ালি নেয়নি। থানা থেকে বলা হয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের বিষয়ে জানানো হবে। আমি এখনও থানায় রয়েছি।

ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন তিন লাখ ১০ হাজার টাকা, একজন নয় লাখ টাকা ও আরেকজন সাত লাখ ৯৮ হাজার টাকার পণ্য অর্ডার করেও নির্ধারিত সময়ে পণ্য পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে অভিযোগকারী আরিফ বাকের ও তার বন্ধুরা চলতি বছরের মে ও জুন মাসে কিছু পণ্য অর্ডার করেন। পণ্যের অর্ডার বাবদ সব মূল্য বিকাশ, নগদ ও সিটি ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন তারা। পণ্যগুলো ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে ডেলিভারি ও নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পণ্য সরবরাহে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠান সমপরিমাণ টাকা ফেরত দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিল। কিন্তু ওই সময়সীমার মধ্যে পণ্যগুলো ডেলিভারি না পাওয়ায় বহুবার ইভ্যালির কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধিকে ফোন করা হয়। সর্বশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর যোগাযোগ করে অর্ডার করা পণ্যগুলো পাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই।

একপর্যায়ে ইভ্যালি পণ্য প্রদান ও টাকা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ার পর ৯ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসে যাই। ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা উত্তেজিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। একপর্যায়ে অফিসের অভ্যন্তরে থাকা ইভ্যালির রাসেল উত্তেজিত হয়ে তার রুম থেকে বেরিয়ে এসে আমাকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন এবং আমাদের পণ্য অথবা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। আমাদের ভয়-ভীতি ও হুমকিসহ চরম দুর্ব্যবহার করে, যার ফলে আমরা চরম আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দিনযাপন করছি এবং পণ্যগুলো বুঝে না পাওয়ায় আমি আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ