দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের ৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মোট ৫৬ জন প্রার্থীর মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবং ৩টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। বিপরীতে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৪০ জনের প্রার্থীর।
এদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় পার্টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণফ্রন্ট, তৃণমূল বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী।
টাঙ্গাইলে জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন-
টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী)
টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) এ আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৪ জনের। এরা হলেন- জাতীয় পার্টির প্রার্থী হুমায়ুন কবির তালুকদার (লাঙ্গল), তিনি পেয়েছেন ৪০২ ভোট। গণফ্রন্টের গোলাম সারোয়ার (মাছ), তিনি পেয়েছেন ৩১২ ভোট। বাংলাদেশ কংগ্রেসের রেজাউল করিম (ডাব), তিনি পেয়েছেন ৪৫১ ভোট। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সাইফুল ইসলাম (আম), তিনি পেয়েছেন ৩০৫ ভোট।
টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) এ আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৪ প্রার্থীর। এরা হলেন- জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) প্রার্থী আব্দুল হালিম, তিনি পেয়েছেন ৭৮৮ ভোট। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম-নোঙ্গর) প্রার্থী জাকির হোসেন, তিনি পেয়েছেন ১৫০০ ভোট। বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের (চাকা) প্রার্থী সাখাওয়াত খান সৈকত, তিনি পেয়েছেন ২৩৪ ভোট এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (আম) প্রার্থী হাসান আল মামুন সোহাগ, তিনি পেয়েছেন ২৫২ ভোট।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) এ আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৭ জন প্রার্থীর। এরা হলেন- স্বতন্ত্র (ঈগল) প্রার্থী সাখাওয়াত সিরাজ শুক্লা, তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৮৭ ভোট। জাসদ (মশাল) প্রার্থী এস এম আবু মোস্তফা, তিনি পেয়েছেন ২০৩ ভোট। জাকের পার্টির (গোলাপ ফুল) প্রার্থী মোন্তাজ আলী, তিনি পেয়েছেন ২৬১ ভোট। জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) প্রার্থী লিয়াকত আলী, তিনি পেয়েছেন ৫০৩ ভোট। তৃণমূল বিএনপি (সোনালী আঁশ) প্রার্থী শহিদুল ইসলাম, তিনি পেয়েছেন ১৩৬ ভোট। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (একতারা) প্রার্থী শুকুর মামুদ, তিনি পেয়েছেন ১০৩ ভোট এবং জাতীয় পার্টি-জেপি (বাইসাইকেল) প্রার্থী সাদেক সিদ্দিকী, তিনি পেয়েছেন ১৪৭ ভোট।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) এ আসনে জামানত হারিয়েছেন ৬ প্রার্থী। এরা হলেন- জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) প্রার্থী মোজাম্মেল হক, তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ১৯১ ভোট। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম-নোঙ্গর) প্রার্থী তৌহিদুর রহমান চাকলাদার, তিনি পেয়েছেন ৬৫৭ ভোট। তৃণমূল বিএনপি (সোনালী আঁশ) প্রার্থী শরিফুজ্জামান খান, তিনি পেয়েছেন ৩১৪ ভোট। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (একতারা) প্রার্থী হাসরত খান ভাসানী, তিনি পেয়েছেন এক হাজার ৫৪ ভোট। স্বতন্ত্র (কেটলি) প্রার্থী খন্দকার আহসান হাবিব, তিনি পেয়েছেন এক হাজার ৫৮৪ ভোট। স্বতন্ত্র (ট্রাক) প্রার্থী জামিলুর রহমান মিরন, তিনি পেয়েছেন ৯৭ ভোট। তবে প্রতীক বরাদ্দের দিনেই নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ান মিরন।
টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) এ আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৬ প্রার্থীর। এরা হলেন- বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (একতারা) প্রার্থী আব্দুল করিম (১২৪ ভোট)। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (নোঙ্গর) প্রার্থী খন্দকার ওয়াহিদ মুরাদ (১,৪৮২ ভোট)। বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (ফুলের মালা) প্রার্থী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (১৮৯ ভোট)। স্বতন্ত্র (ট্রাক) প্রার্থী মুহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম (৬ হাজার ৫৫৬ ভোট)। জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) প্রার্থী আবুল কাশেম (৬ হাজার ৬২৫ ভোট) এবং স্বতন্ত্র (বাঁশি) প্রার্থী সৈয়দ মাহমুদুল ইলাহ্ (৫৮০ ভোট)।
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) এ আসনে জামানত হারিয়েছেন ৬ জন। এরা হলেন- বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির (হাতুড়ী) প্রার্থী গোলাম নওজব চৌধুরী (২৬৫ ভোট)। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ (গামছা) প্রার্থী আরমান হোসেন তালুকদার (১ হাজার ৩৪০ ভোট)। জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির (৩৬৮ ভোট)। জাসদ (মশাল) প্রার্থী মঞ্জুর রহমান মজনু (১৫৩ ভোট), জাকের পার্টির (গোলাপ ফুল) প্রার্থী মোক্তার হোসেন (৫১২ ভোট) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব) প্রার্থী রুপা রায় চৌধুরী (১০৫ ভোট)।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) এ আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৪ প্রার্থীর। এরা হলেন- জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) প্রার্থী রেজাউল করিম (৪৬৯ ভোট), বিকল্পধারা বাংলাদেশের (কুলা) প্রার্থী আবুল হাশেম (২১৭ ভোট), তৃণমূল বিএনপি (সোনালী আঁশ) প্রার্থী পারুল (৫৬৯ ভোট) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব) প্রার্থী মোস্তফা কামাল (১০৯ ভোট)।
টাঙ্গাইলের আটটি আসনে ১২টি উপজেলার ১১টি পৌরসভা ও ১২১টি ইউনিয়নে মোট ভোট কেন্দ্র ছিলো ১ হাজার ৫৬টি।
নয়া শতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ