ঢাকা, বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১, ৭ রজব ১৪৪৬

‘মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাস নির্মূল ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় জে. সুলাইমানি ছিলেন অগ্রদূত’

প্রকাশনার সময়: ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৪

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান লে. জেনারেল কাসেম সুলাইমানি ছিলেন তার সময়কালে বিশ্বের এক নম্বর জেনারেল ও সমরবিদ। মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাস নির্মূল ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন অগ্রদূত।

জেনারেল কাসেম সুলাইমানির চতুর্থ শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মিলনায়তনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

‘জেনারেল সুলাইমানি: সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বিশ্ববীর’ শীর্ষক এই সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, লে. জেনারেল কাসেম সুলাইমানি ছিলেন অত্যন্ত সাহসী ও বিচক্ষণ সমরবিদ। তিনি কখনো মত্যুকে ভয় পেতেন না। তাকে বলা হতো জীবন্ত শহীদ। তার মতো এমন সমরবিদ এই সময়ে মুসলিম বিশ্বে আর দ্বিতীয়টি নেই। গেরিলাযুদ্ধ কাকে বলে তা তিনি বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন। আজকে ফিলিস্তিনের হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহর যে শক্তিমত্তা আপনার লক্ষ্য করছেন, তার পেছনে মূল শক্তি যুগিয়েছেন শহীদ জেনারেল কাসেম সুলাইমানি।

ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেযা মীরমোহাম্মাদীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদুল ইসলাম।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক জামালউদ্দিন বারী। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, জেনারেল সুলাইমানি শুধু প্রতিরোধ বাহিনীকে গাইড লাইনই দেননি, নিজের উন্নত চিন্তা, ইমানি জজবা এবং অকুতোভয় সংগ্রামী চেতনাকে তার নির্দেশিত প্রতিটি বাহিনীর যোদ্ধাদের মধ্যে উজ্জীবিত করতেও সক্ষম হন। এটিই বিশ্বের অন্য সব সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে জেনারেল কাসেম সুলাইমানির বড় পার্থক্য টেনে দেয়।

বক্তারা বলেন, জেনারেল সুলাইমানির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৃতিত্ব হচ্ছে, তিনি মধ্যপ্রাচ্যের বিবদমান মুজাহিদ গ্রুপগুলোকে আইএসবিরোধী যুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। পশ্চিমা সমরশক্তি ও গতানুগতিক যুদ্ধ কৌশলকে ব্যর্থ করে দিতে এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছে। বিশ্বের এক নম্বর জেনারেল ও সমরবিদ কাসেম সুলাইমানির মধ্যে যে অসামান্য দূরদৃষ্টি, উচ্চতর মনুষ্যত্ববোধ, আধ্যাত্মিক চেতনা ও নিরলস কর্মবীরের গুণাবলীর সন্নিবেশ ঘটেছিল, তা মধ্যপ্রাচ্যের জায়নবাদবিরোধী প্রতিটি মুক্তিকামী সৈনিকের মধ্যে পরশ পাথরের মতো প্রভাব সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ