ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আতশবাজির ঝলকানিতে বর্ণিল রাজধানীর আকাশ

স্বাগত ২০২৪
প্রকাশনার সময়: ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:২৭

ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা ছোঁয়ার আগেই আতশবাজি আর ফানুসে আলোকিত হয় রাজধানীর আকাশ। বিধিনিষেধের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন বাসার ছাদে বসেছে রাঙা মঞ্চ। আতশবাজির শব্দের সঙ্গে তরুণদের উন্মাদনার পাশাপাশি আকাশে রঙিন ফানুসের দুলুনি মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। এই উৎসব থেকে বাদ যায়নি শিশু-কিশোররাও। ছেলেদের থেকে পিছিয়ে ছিল না মেয়েরাও।

তারুণ্যের বাঁধভাঙা উল্লাসে শুরু হলো ‘২০২৪’। সোমবার (১ জানুয়ারি) প্রথম প্রহরে রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান, বনানী আর ধানমন্ডি এবং উত্তরা, বাড্ডা, বসুন্ধরা, বারিধারা, রামপুরা, মগবাজার, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, পুরান ঢাকা, পল্টন, মতিঝিল ও ফকিরাপুলসহ বিভিন্ন এলাকায় নানা আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করার খবর পাওয়া গেছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিধিনিষেধের কারণে যাবতীয় আয়োজনই বাড়ির ছাদে সীমাবদ্ধ ছিল। অনেকটা ঘরোয়াভাবে রাজধানীর মানুষ নানা আয়োজনে খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২৪-কে স্বাগত জানাচ্ছেন। তবে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের কমতি থাকছে না। অনেকে বাসার ছাদে বারবিকিউ পার্টি, কেক কাটাসহ নানা আয়োজন রেখেছেন।

রাতে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার এলাকার একটি আটতলা ভবনের ছাদে উঠে দেখা যায়, রাত সাড়ে ১১টার পর থেকেই থেমে থেমে বিভিন্ন বাড়ির ছাদ থেকে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হচ্ছে। অনেক বাড়ির ছাদে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করে বর্ষবরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার আতশবাজিতে রঙিন হয়ে ওঠে আকাশ। অনেকে এ সময় ফানুসও উড়িয়েছেন। অবশ্য ঢাকা মহানগর পুলিশ বর্ষবরণে আতশবাজি পোড়ানো ও ফানুস ওড়ানোর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল।

অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সাদামাটাভাবে ইংরেজি (গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি, গ্রেগোরিয়ান বর্ষপঞ্জি, পাশ্চাত্য বর্ষপঞ্জি) নববর্ষকে বরণ করতে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে আগত শিক্ষার্থীদের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এসে একসঙ্গে হৈ-হুল্লোড়, আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশের মাধ্যমে রাতটি উদযাপন করা হয়।

এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা টিএসসিতে বাইকের হর্ন বাজিয়ে নতুন বর্ষকে বরণ করে নেন। সরজমিনে দেখা যায়, রাত ৮টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় জড়ো হতে থাকেন। বহিরাগতদের প্রবেশে বাধা থাকায় তারা ঢাবিতে ঢুকতে পারেনি। ফলে ক্যাম্পাস ছিল অনেকটাই শান্ত। ১২টা বাজার ১৫ মিনিট আগ থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা টিএসসিতে আসতে থাকলেও আতশবাজি ফোটানো বা ফানুস না উড়ানোয় সাদামাটাভাবেই রাতটি উদযাপন করা হয়।

তবে শিক্ষার্থীদের তুলনায় পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে এমন পরিস্থিতিকে ‘পজিটিভ’ হিসেবে দেখছেন অধিকাংশ শিক্ষার্থী। এদিকে, পুরনো বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরের আগমনকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখগুলোতে ব্যারিকেড বসিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং তল্লাশি চালানো হয়। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

রোববার সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্টিকার ও পরিচয়পত্র ছাড়া বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দিয়ে নীলক্ষেত এবং শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করেছেন।

নয়াশতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ