মহামারির প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ শীর্ষ পাঁচটি সহনশীল অর্থনীতির মধ্যে থাকার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি ‘কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১’-এ দেয়া বক্তব্যে একথা বলেছেন। একাধিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জরিপে বাংলাদেশের অর্থনীতির এই অবস্থানে উঠে আসার তথ্য দেন তিনি।
সম্মেলনে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের উপায় এবং পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বিভিন্ন দেশের নেতারা।
অর্থমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, ২০২০ সালের আইএমএফের অক্টোবরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ব অর্থনীতিতে গড় ৪ দশমিক ৪ শতাংশের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। এ সময় অতি অল্প কয়েকটি ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি কোভিড-১৯ এর কারণে গত বছর বৈশ্বিক অর্থনীতি ৩ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছে। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ, যা বৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ হ্রাসের অন্যতম প্রধান কারণ।
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা-আঙ্কটাডের একটি প্রতিবেদনে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, ২০২০ সালে বৈশ্বিক সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ কমেছে ৪২ শতাংশ। আর এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কমনওয়েলথ অর্থনীতি ৫০ শতাংশের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই পটভূমিতে, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ উভয় ক্ষেত্রেই একটি শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের পথ খুঁজে বের করাই আমাদের এই সভার মহৎ উদ্দেশ্য।
সভায় কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান লর্ড মারল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী এবং বাণিজ্য বোর্ডের সভাপতি এলিজাবেথ ট্রাস এমপিসহ আরো বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য প্রদান করেন।
তারা সবাই কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের উপায় এবং পথ খুঁজে বের করতে একসঙ্গে কাজ করার আশা প্রকাশ করেন।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ