এবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মিলবে ইউরোপ-সিঙ্গাপুরের মতো সেবা। দেশে মোট তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থাকলেও সেগুলোতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ঘাটতি রয়েছে বলে যাত্রীদের অভিযোগের শেষ নেই।
বিমানবন্দরটির তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এটি চালু হলে বছরে যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা ৮০ লাখ থেকে বেড়ে ২ কোটিতে উন্নীত হওয়ার আশা করা হচ্ছে। এ ছাড়া নতুন কার্গো ভিলেজ নির্মাণ শেষ হলে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন ২ লাখ টন থেকে ৫ লাখ টনে পৌঁছাবে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দেশের অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে। আমদানি-রপ্তানি ও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নানামুখী গতি আসবে। যাত্রীর সঙ্গে পণ্য পরিবহনের সুযোগ-সুবিধা বাড়ার সুফল পাবে বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে ফ্রেইট ফরোয়ার্ড অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক কে জেড ইবনে আমিন সোহাইল বলেন, তৃতীয় টার্মিনালটি চালু হলে যাত্রী সেবা বাড়বে কয়েক গুণ। সেইসঙ্গে কার্গো ভিলেজ সচল হলে আকাশপথে পণ্য পরিবহনও একইভাবে বাড়বে। আধুনিক সুবিধা থাকায় সেবা গ্রহীতারাও সন্তুষ্ট হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামী ১০ বছরে শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে সাময়িকভাবে সুফল মিলবে। বিদেশি অনেক যাত্রী ও কার্গো এয়ারলাইন্স এটি ব্যবহারে আগ্রহ দেখাচ্ছে। বিষয়টি সামনে রেখে ইউরোপীয় মানের উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে টার্মিনাল পরিচালনায় গুরুত্ব দিতে হবে।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ