জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের আগস্টে করা একটি দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালত রায় ঘোষণার জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
এর আগে গত ২২ নভেম্বর এই মামলার যুক্তিতর্ক শেষ করেছে বাদীপক্ষ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যুক্তিতর্ক শেষে আদালতের কাছে মির্জা আব্বাসের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থনা করে বাদীপক্ষ।
ওই দিন আদালনে শুনানিতে আব্বাসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থনা করেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। এরপর মির্জা আব্বাসের পক্ষে আইনজীবী আমিনুল ইসলাম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
শুনানি শেষে আদালত ৩০ নভেম্বর এ মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন। তবে, বিবাদীপক্ষকে ২৬ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার সুযোগ দেওয়া হয়।
এর আগে, আদালত মামলার অভিযোগকারীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ২৪ সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের বাইরে পাঁচ কোটি ৬৭ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে ২৩ লাখ টাকার সম্পদের বিবরণী গোপন করার অভিযোগে রমনা থানায় এ মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
কিন্তু, পরে আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট তার বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম বাতিল করে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ