কৃষিমন্ত্রী ডা. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশ এক সময় ছিল খাদ্য ঘাটতির দেশ, দুর্ভিক্ষের দেশ, সারা পৃথিবীতে আমরা খাদ্যের জন্য ঘুরে বেড়াতাম। তবে আজকে অত্যন্ত খুশীর কথা, আনন্দের কথা বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দুই মেয়াদ শেষ করে তৃতীয় মেয়াদে যে নির্বাচনী ইস্তেহার দিয়েছেন সেখানে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদেরকে এখন পুষ্টি জাতীয় খাবারের নিশ্চয়তা দিতে হবে, নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে হবে। এই লক্ষে আমরা আমাদের যে অগ্রাধিকার সেক্টর আছে তার মধ্যে কৃষি সেক্টরকে আধুনিকরণ ও জাতীয়করণ করতে চাই। কৃষি পণ্যের প্রক্রিয়া জাত করে এগুলোর দাম বৃদ্ধি করতে চাই এবং মূল্য সংযোজন করতে চাই। মন্ত্রী রোববার দুপুরে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কামারালী মাঠে টমেটো ক্ষেত পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভারত থেকে দেশে আর কোন টমেটো আমদানী করা হবেনা। এটি আমরা বন্ধ করবো। আমরা আমাদের দেশ থেকে চাহিদা মেটাবো পাশাপাশি বিদেশে রফতানি করবো। সেই লক্ষ নিয়ে আমরা কাজ করছি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা চাষীদের সহযোগিতা দিচ্ছি এবং প্রণোদনাও দিচ্ছি। উপকূলবর্তী এলাকায় আগে একটি মাত্র ফসল হতো সেটি রোপা আমন। সেখানে আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি ভবিষ্যতে এখানে শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন সময়ে লবনাক্ত সহিষ্ন ধানের জাত-৬৭ আবাদ শুরু হবে। ইতিমধ্যে আবাদ শুরু হয়েছে। এটির ব্যাপক আবাদ হবে। এটার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশও দিয়েছেন যে, দ্রুত এই ধান পুরো এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা-১ (তালা+কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মুজিবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন প্রমুখ।
পরে মন্ত্রী একই উপজেলার বাটরা গ্রামের আরো একটি টমেটো ক্ষেত পরিদর্শন শেষে কলারোয়া উপজেলা পরিষদে যান। সেখান থেকে বিকালে মন্ত্রী যশোর সার্কিট হাউজের উদ্দেশে রওনা দেন বলে জানা যায়।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ