আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, স্থায়ী মুক্তি কিংবা বিদেশে নিয়ে যেতে হলে জেলে গিয়ে আবেদন করতে হবে খালেদা জিয়াকে। বিদ্যমান আইনে এটুকুই সম্ভব।
এর আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যেতে দিনকয়েক আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদন করেছিল তার পরিবার।
আজ রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) আইন কমিশনের রজত জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে এ কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল।
আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া এখন যেভাবে আছেন, এ অবস্থায় আমরা তার দণ্ড স্থগিত করতে পারি, এর বেশিকিছু নয়। সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী তার বিদেশ যাওয়ারও সুযোগ রয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে তাকে আবারো জেলে যেতে হবে। তারপর বিদেশ যাওয়া কিংবা মুক্তির জন্য নতুন করে আবেদন করতে হবে।
দিনকয়েক আগে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছিল পরিবারের পক্ষ থেকে। সেই আবেদন পর্যালোচনা করে ইতিবাচক সুপারিশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়। তবে সেটা মুক্তি কিংবা বিদেশ যাওয়া নয়, দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ৬ মাস। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সেই সুপারিশ অনুমোদন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা হয় খালেদা জিয়ার। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৫ মাস কারাভোগের পর সরকারের নির্বাহী আদেশে ৬ মাসের দণ্ড স্থগিত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে এই স্থগিতাদেশ দুই দফা বাড়ানো হয়। এর মধ্যেই করোনা ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় বেশ অনেকদিন হাসপাতালে ছিলেন তিনি।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ