ঢাকা, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ‘মহাজোট’ গঠন

প্রকাশনার সময়: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:০৬

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনের জন্য নতুন মহাজোটের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই জোট গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়। শিক্ষকদের ৩০টি সংগঠন মিলে গঠিত মহাজোটের আহ্বায়ক করা হয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মাঈন উদ্দিনকে।

লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জসিম উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ১৯৮০ সালে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারের কাছ থেকে প্রথমে জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় ৫০ শতাংশ প্রারম্ভিক বেতন প্রাপ্তির সুযোগ পান। শুরু থেকে এ পর্যন্ত শিক্ষক কর্মচারীরা বিভিন্ন সরকারের আমলে আন্দোলন-সংগ্রামের ফলে শতভাগ বেতনসহ বার্ষিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি, ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা, এক হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা কর্মচারীগণ ৫০ শতাংশ বোনাস এবং শিক্ষকগণ ২৫ শতাংশ বোনাস ও নির্ধারিত হারে অবসর ও কল্যাণ ভাতা পাচ্ছেন। ‘তবে চাকরি থেকে অবসরের ৩-৪ বছরের আগে শিক্ষক-কর্মচারীগণ অবসর-কল্যাণ ভাতা পান না এবং এ সময়ের মধ্যে অনেকের মৃত্যু হয়। শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলি নেই, প্রমোশন নেই, নেই অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধাদি।’

মাঈন উদ্দিন বলেন, উল্টো শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির অযাচিত অত্যাচার আছে। ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগে অস্বচ্ছতা ও ক্ষেত্রবিশেষে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। কমিটি প্রথা বাতিল করে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা উচিত বলেও তিনি দাবি জানান।

তিনি বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করতে হলে সরকারকে উৎসবভাতা শতভাগে উন্নীত করতে লাগবে ৭ থেকে ৮শত কোটি টাকা। ‘আর বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা স্কেলভিত্তিক প্রদানসহ স্থায়ী অবসর ও কল্যাণ তহবিল গঠন করে সরকার যদি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যাবতীয় আয় সরকারি কোষাগারে জমা করে এবং শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন কিছুটা সংস্কার করে আমাদের প্রস্তাব অনুযায়ী নির্ধারণ করে তাহলে অনায়াসেই এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করা যায়।’

ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, অর্থসচিব ও শিক্ষা সচিব বরাবর জাতীয়করণের আবেদন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তই এমপিওভুক্ত শিক্ষাকে জাতীয়করণ করতে পারে।

এ বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি যদি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়। দেশে ৩৯ হাজার ৯২টি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে এক প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়। সূত্র- বিডি নিউজ

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ