ফতুল্লার ভোলাইলে মুক্তিপণ আদায়ে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীসহ আরেক গার্মেন্ট শ্রমিককে আটকে রেখে চাঁদা দাবির অভিযোগে পলাশ দাস (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় আটকে রাখা কিশোরী গার্মেন্ট শ্রমিক সোহানা খাতুন (১৬) ও তার সহকর্মী জসিম উদ্দিন জিসানকে (১৯) উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে ফতুল্লার ভোলাইল শান্তিনগরস্থ একটি রিকশার গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজ পলাশকে গ্রেফতারসহ আটকে রাখা দুই গার্মেন্টকর্মীকে উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার পলাশ দাস ফতুল্লা থানার ভোলাইল শান্তিনগরের নির্মল দাসের ছেলে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সোহানা খাতুনের বড় বোন নাসরিন খাতুন বাদী হয়ে পলাশ দাস ও ভোলাইল শান্তিনগরের বড় মসজিদের লিয়াকত আলীর পুত্র মো. হিমেলের (২৬) নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদীর ছোট বোন বিসিকের মার্টিন নিটওয়্যারে চাকরি করে। প্রতিদিনের মতো তার ছোট বোন সকাল ৮টার দিকে নিজ কর্মস্থলে যায়। রাত ৮টার দিকে গার্মেন্ট ছুটি হওয়ার পর বাদীর ছোট বোন জিসান নামক তার এক সহকর্মীকে নিয়ে বাসায় ফেরার পথে বাসার সামনের রাস্তা থেকে জোরপূর্বক তাদের আসামিরা ভোলাইল শান্তিনগরস্থ একটি রিকশার গ্যারেজে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের আটকে রেখে বাদীর মোবাইল ফোনে ফোন করে জানায় যে তার বোনকে একটি ছেলের সঙ্গে পেয়ে আটকে রাখা হয়েছে। সে তার বোনকে উদ্ধারে ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে ছোট বোনের মুক্তিপণ হিসেবে তার কাছে বিশ হাজার টাকা দাবি করা হয়।
কোনো উপায় না পেয়ে তিনি ফতুল্লা থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকে রাখা বাদীর ছোট বোন ও তার সহকর্মীকে উদ্ধারসহ কথিত ছাত্রলীগ নেতা পলাশ দাসকে আটক করে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় পলাশ দাসের সহযোগীরা।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, ছুটি শেষে সহকর্মীকে নিয়ে ভোলাইল শান্তিনগরস্থ নিজ বাসায় ফিরছিলেন গার্মেন্টশ্রমিক সোহানা। এ সময় বাসার সামনে থেকে গার্মেন্টফেরত ওই দুই শ্রমিককে একটি রিকশার গ্যারেজে নিয়ে আটকে রেখে সোহানার পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ বাবদ টাকা দাবি করা হয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পলাশ দাস নামক একজনকে আটকসহ আটকে রাখা দুই গার্মেন্টশ্রমিককে উদ্ধার করা হয়।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ