ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘আনসারকে গ্রেফতারের ক্ষমতা দেয়া আতঙ্কের বিষয়’

প্রকাশনার সময়: ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:৫৯

আনসারকে পুলিশের মতো গ্রেফতার করার ক্ষমতা দেয়া আতঙ্কের বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোট। জোটটি বলছে, পুলিশের মতো আনসারও যাকে খুশি গ্রেফতার করতে পারবে; এমন বিধান রেখে ‘আনসার ব্যাটালিয়ন বিল-২০২৩’ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু এই বিল পাস হলে পুলিশ যা করে, আনসার বাহিনীও তা করতে পারবে। ফলে দেশে স্বৈরতন্ত্র পাকাপোক্ত করতে আওয়ামী সরকারের দমন-পীড়ন ক্ষমতা দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। সেইসঙ্গে অবৈধ শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশকে উত্তর কোরিয়া বানানোর পথে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। অবিলম্বে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রণীত এই ‘আনসার ব্যাটালিয়ন বিল’ প্রত্যাহার করে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এ আহ্বান জানান। বিবৃতিদাতারা হলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র ও কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিএমএল চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, ইসলামিক ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির সভাপতি ড. সৈয়দ জাভেদ মোহাম্মদ সালেহউদ্দিন প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ মনে করেন, পুলিশের মতো অপরাধ তদন্ত করার ক্ষমতা পেলে আনসার বাহিনীও ফৌজদারি মামলা তদন্ত করার ক্ষমতা পাবে যা বর্তমানে শুধুমাত্র পুলিশের এখতিয়ার ভুক্ত বিষয়। তদন্ত করার জন্য পুলিশের মতো আরেকটি সমান্তরাল বাহিনী গঠন করা হলে তা পুলিশ বাহিনীর কাছেও অগ্রহণযোগ্য বিবেচিত হবে। এই বিলটি বাস্তবায়ন করা মোটেই উচিত হবে না। এটি হবে বিরোধী দল দমনে এবং গণতন্ত্রকে কবরস্থানে পাঠানোর আরেকটি ভয়ংকর পদক্ষেপ।

তারা বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭২ সালে রাজনৈতিক দলের কার্যক্রমে বাধাদান করা এবং নিষ্ঠুরভাবে দমন-পীড়নের উদ্দেশ্যে রক্ষী বাহিনী নামে একটি আধা সামরিক বাহিনী গঠন করেছিল। রক্ষী বাহিনী হাজার হাজার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীকে আটক নির্যাতন ও গুম খুনের মতো ঘটনা ঘটিয়েছিল। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর খোলসে বিরোধী দলকে দমন করার পরিণতি অতীতে ভালো হয়নি ভবিষ্যতেও হবে না। আমরা সরকারকে স্বাধীনতার চেতনা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সম্মান করে আনসার বাহিনীকে আরেকটি পুলিশ বাহিনী বানানোর দুরভিসন্ধিমূলক কার্যক্রম থেকে সরে আসার আহবান জানাচ্ছি। আনসার বাহিনীকে পুলিশের মতো ক্ষমতা দিলে তা গণতন্ত্র, বিরোধী দল এবং জনগণকে দমন-পীড়ন করার আরেকটি নতুন কলঙ্কিত ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত হবে।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ