বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে অভিযোগ করে আদালতকে চ্যালেঞ্জ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেছেন, আদালতের কাছে এমন কোনো আইন নেই, যে আইনের বলে বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়া যায় না। একদম চ্যালেঞ্জ করে বলছি।
বৃহস্পতিবার জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সহসভাপতি নাজমুন নাহার বেবি, নেওয়াজ হালিমা আর্লি, ইয়াসমিন আরা হক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
গয়েশ্বর বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি একান্তই আদালতের ইচ্ছার ব্যাপার। আদালতের মুক্তি দেয়ার ইচ্ছাটা থাকলেও খালেদা জিয়ার বেলায় তা হয় না। তার জামিনের বিষয়ে আদালত কেন কলম থামিয়ে রাখে, সেটা বুঝতে হবে। আইনের বই ঘেঁটে সুষ্ঠু বিচার করার ক্ষেত্রেও বিচারপতিদের প্রতিবন্ধকতা আছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নেত্রী হয়েছেন। তার মুক্তি আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই হবে। এর বিকল্প আমাদের কাছে কোনো পথ খোলা নেই। আমরা তার মুক্তির চেষ্টা করছি। তবে আমি মনে করি, সেই চেষ্টা যথেষ্ট নয়। আমাদের একটিই চেষ্টা করা দরকার, সরকারের পতন। সরকারের পতন হলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন, গণতন্ত্র মুক্তি পাবে।
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই হবে। গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। অন্যায়-অবিচার থেকে মানুষ বাঁচতে পারবে। সরকার পতনের মধ্য দিয়েই এটা সম্ভব হবে। সরকার এমন আন্দোলন দেখবে, যে আন্দোলনে এই সরকারের পক্ষে দাঁড়িয়ে কথা বলার আর সুযোগ থাকবে না।
নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপি মাঠে নামবে কিনা জানতে চাইলে গয়েশ্বর বলেন, বিএনপি সব সময় আন্দোলনমুখী দল। আমরা এখনো আন্দোলন করছি। কোনো আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী হয়, আবার কোনো আন্দোলন ক্ষণস্থায়ী হয়।
বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ধড়পাকড় হলো একটা বার্তা। সরকার যে দুর্বল হয়ে পড়েছে, এটা তারই প্রমাণ। এভাবেই তারা বিরোধী দলকে দুর্বল করতে চায়। নেতাকর্মীদের মনস্তাত্ত্বিকভাবে দুর্বল করার জন্য তারা মাঝেমধ্যে এরকম হাওয়া দেবে। তার পরেও সরকারের পতন ঠেকিয়ে রাখার কোনো সুযোগ নেই।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ