ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে : মন্টু

প্রকাশনার সময়: ১৪ অক্টোবর ২০২৩, ২০:১৫

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু। তিনি বলেন, সংবিধান কোরআনের কোনো বাণী যেটা পরিবর্তন করা যাবে না! তত্ত্বাবধায়ক সরকারে এত ভয় কেন? দেশের শান্তির জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কোনো বিকল্প নেই। জনগণের জন্য সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনুন। তাই দেশের স্বার্থে কারো সাথে কোন অবস্থায় আপোষ হবে না।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত গণফোরাম চত্বরে ‘খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ প্রেরণ দাবিতে গণঅনশন ও অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে, টাকা পাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসেছে। সভ্যতা, ভদ্রতা, মানবতা সবকিছু বিসর্জন দিয়ে দিয়েছে শুধু ক্ষমতা চাই, ক্ষমতা চাই, ক্ষমতা চাই!

তিনি বলেন, সবকিছু মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে, মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখার সময় এই সরকারের নাই। রাতের আঁধারের প্রধানমন্ত্রী মাটির আওয়াজ কান পেতে শুনুন, দেওয়ালের লিখাটা বোঝার চেষ্টা করুন আর যেন জাতীয় পর্যায়ে কোন বিপর্যয় নেমে না আসে।

গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, এই সরকার উন্নয়ন করে লুটপাটের জন্য আওয়ামী লীগের উন্নয়নে জনদুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের রিজার্ভ নামতে নামতে একদম তলানীতে নেমেছে। রিজার্ভ এখন রেড জোনে আছে, টাকা নাই, পয়সা নাই! ব্যাংকের টাকা সব লুট হয়ে গেছে, এদের উন্নয়ন চুরির উন্নয়ন। লুটপাট করার জন্য এই সরকার ক্ষমতা থাকতে নানান ষড়যন্ত্রের জাল বিছাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের কোন ষড়যন্ত্র আর বরদাস্ত করবে না। হাসিনা সরকারের বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে, জনগণ লাল কার্ড দেখিয়েছে এইবার ক্ষমতা ছাড়তেই হবে। নিরপেক্ষ রেফারির মাধ্যমে আগামী নির্বাচন হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী বলেন, ভারতের সার্টিফিকেটে দেশ চলতেছে। এদেশে আমাদের লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক চাকরির জন্য দিশেহারা। আর ভারতের জনগণ আমাদের বড় বড় পোস্টগুলো দখল করে আছে। দুর্নীতিবাজদের বিচার হয় না কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রহসনের বিচার করছে সরকার।

‘তলে তলে সব ঠিক হয়ে গেছে’ ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে পিপলস পার্টির মহাসচিব মো. আবদুল কাদের বলেন, জনগণ এত বোকা! আর এদেশে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। অবিলম্বে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন জনগণকে মুক্ত করুন।

এতে উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের, সভাপতি পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলুল হক সরকার, আব্দুল হাসিব চৌধুরী, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, ছাত্র সম্পাদক মো. সানজিদ রহামন শুভ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিবুর রহমান বুলু ও সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, পিপলস পার্টির কো-চেয়ারম্যান পারভীন নাসের খান ভাসানী, প্রেসিডিয়াম মেম্বার আতিকুর রহমান, নাজমা আক্তার, হারুন অর রশিদ সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিম সরদার, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুলর চাকলাদার প্রমুখ।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ