সাভারে ভাড়া বাসায় ওঠার প্রথম দিনেই কাপড় বিক্রেতা, টঙ্গীতে পারিবারিক কলহের জের ও চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণের পর গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। ব্যুরো প্রতিনিধি ও জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
সাভার : ভাড়া বাসায় ওঠার প্রথম রাতেই অজ্ঞাত নারী কাপড় ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছে তার সঙ্গী। ঘটনার পর থেকে সেই পুরুষসঙ্গী পলাতক।
বুধবার দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময়ে সাভার পৌরসভার (২নং ওয়ার্ড) কোটবাড়ি মহল্লার জমি ব্যবসায়ী আব্দুল গফুর ওরফে বাবুলের টিনশেড বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই নারী একই এলাকায় ফেরি করে কাপড় বিক্রি করতেন। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রাতে অজ্ঞাত দুই নারী ও পুরুষ বাবুলের বাসায় ওঠেন। এদিন রাতেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
টঙ্গী : বড় দেওড়া মণ্ডল মার্কেট এলাকা থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার বড় দেওড়া মণ্ডল মার্কেট এলাকার পরিত্যক্ত একটি জায়গা থেকে শাবনূর নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নারীর বাবার নাম জরিফ উদ্দিন। গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলার ধামুড়হাট থানার অমরকুর গ্রামে। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী সাত্তার ও তার বন্ধু দুলালকে আটক করেছে পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গা : সদরে বাড়ি থেকে প্রবাসীর স্ত্রীর রক্তাক্ত বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। সদর উপজেলার নতুন যাদবপুর গ্রামের বাড়ি থেকে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের স্বজনরা জানান, ২০ বছর আগে বিয়ে হয় ওই নারীর। তাদের বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট ছেলের বয়স আট বছর। কাজের জন্য ১৮ বছর আগে কুয়েতে যান তার স্বামী। বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে একাই থাকতেন তিনি। ওই বাড়ির আশপাশেই থাকেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েক বছর ধরেই এলাকার মামুন মণ্ডল নামের এক যুবকের সঙ্গে ওই নারীর বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। প্রায় ঝগড়া হতো এবং তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটত।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ